আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এর আগে অষ্টাদশ শতকে ম্যালেরিয়ার কারণে বিপুল সংখ্যক হানিক্রিপারের মৃত্যু হয়েছিল। এই সংক্রমণ প্রতিহত করার কোনও ক্ষমতা এদের নেই। সংক্রামিত মশার এক কামড়ই হানিক্রিপারের মৃত্যুর পক্ষে যথেষ্ট। এবার হানিক্রিপারের অবলুপ্তি ঠেকাতে তাই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে হাওয়াই প্রশাসন। এর অঙ্গ হিসেবে সপ্তাহে আড়াই লক্ষ পুরুষ মশা হেলিকপ্টার থেকে ছাড়া হয়েছে। এই মশাগুলি উলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়া বহন করে। এই ‘প্রাকৃতিক’ ব্যাকটেরিয়াগুলি মশাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তিত পুরুষ মশাগুলির সঙ্গে জংলি স্ত্রী মশাদের সঙ্গম হয়। কিন্তু, স্বাভাবিক নিয়মে স্ত্রী মশা ডিম পাড়লেও উলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির কারণে ডিমগুলি ফুটতে পারে না। ফলে, মশার বংশ বৃদ্ধি হতে পারে না। এভাবে মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হানিক্রিপারদের অবশিষ্ট প্রজাতির অবলুপ্তি ঠেকানো সম্ভব হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এই পদ্ধতির পোশাকি নাম ‘ইনকমপ্যাটিবল ইনসেক্ট টেকনিক’ (সংক্ষেপে আইআইটি)। এখনও পর্যন্ত হেলিকপ্টার থেকে ১ কোটি পুরুষ মশা ছাড়া হয়েছে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বার্ডস, নট মসকিউটোস’। যৌথভাবে এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে মার্কিন ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস, হাওয়াই প্রশাসন এবং মাউই ফরেস্ট বার্ড রিকভারি প্রজেক্ট।