আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন পরিচালিত বার্ডেন অব ডিজিজ, ইনজুরি অ্যান্ড রিস্ক ফ্যাক্টরস স্টাডি ২০২১-এ এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এই সমীক্ষায় ১০ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক গবেষক যুক্ত ছিলেন। ১৯৯০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যের উপর পরিবেশগত, আচরণগত ও পুষ্টি সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্যের পর্যালোচনা করে তৈরি করা হয়েছে রিপোর্টটি। বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, পিএম ২.৫ নামক একটি ক্ষুদ্রকণাই বিশ্বব্যাপী বায়ু দূষণের জন্য ৯০ শতাংশের বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী। এই কণাগুলি রক্তপ্রবাহে মিশে প্রভাবিত করতে পারে অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে। ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ডিমেনশিয়ার মতো একাধিক সমস্যার সঙ্গে জড়িত এই কণা। পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। অপুষ্টির পরেই বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী শিশু মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ হিসেবে দাবি করা হয়েছে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ঘরের ভিতরে রান্না করাই বায়ুদূষণে শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ। সম্প্রতি ইউনিসেফের সহযোগী মার্কিন গবেষণা সংস্থা হেলথ এফেক্টস ইনস্টিটিউট (এইচইআই)-এ প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, ২০২১ সালে গোটা বিশ্বে বায়ুদূষণের ফলে প্রাণ হারিয়েছেন, ৮১ লক্ষ মানুষ। এর মধ্যে ভারতে মৃতের সংখ্যা ২১ লক্ষ। সারা বিশ্বে মৃতদের ৫০ শতাংশেরই মৃত্যুর কারণ ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজঅর্ডার বা সিওপিডি। ভারতে এই অসুখে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৭ হাজার।
এই প্রসঙ্গে সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের প্রাক্তন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর দীপঙ্কর সাহা বলেন, ‘এই রিপোর্ট সত্যিই উদ্বেগের। তবে এর ভিত্তিতে কোনও উপসংহারে আসা ঠিক নয়। কারণ সেই সময় (২০২১) বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ ছিল। পাশাপাশি আরও অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। তাই একমাত্র বায়ুদূষণই এই এতগুলি শিশুর প্রাণ কেড়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সরকারের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়াও দরকার।’