উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
উৎসবের মরশুমের প্রথম পর্যায়ে জাতীয় স্তরে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানতে পারাকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার অন্যতম সাফল্য হিসেবেই দেখছে কেন্দ্র। গোটা দেশের ২৭টি রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা গড়ে ২০ হাজারেরও কম হওয়ায় আশাবাদী মোদি সরকার। তাই আসন্ন দীপাবলি, ক্রিসমাস, নববর্ষের মতো উৎসবের ক্ষেত্রেও রাজ্যগুলিকে এই উদ্যোগ বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর, করোনা পরিস্থিতিতে এই তিনমাসের উৎসব মরশুম নিয়েই উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। কারণ, যত বেশি জমায়েত, ততই সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা। আবার ধর্মীয় উৎসব পালনেও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি কঠিন। তাই দুর্গা পুজো, নবরাত্রি এবং দশেরা নিয়ে টেনশনে ছিল সরকার। কিন্তু প্রাথমিকভাবে সাফল্য মিলেছে সেখানে। নয়াদিল্লি এইমসের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ ভি কে পল বলেন, ‘এমনিতে ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে সংক্রমণের গড় দেখে অবস্থা বিচার করা হয়। সেই হিসেবে গত সপ্তাহে যে রিপোর্ট আসছে, তাতে উৎসব মরশুমের প্রথম পর্যায় ভালোভাবে উতরে গিয়েছে। যতটা সংক্রমণের আশঙ্কা করা গিয়েছিল, তা হয়নি। রাজ্যগুলির উদ্যোগ এবং মানুষের সচেতনতাই এর কারণ।’
এর জেরে দেশজুড়ে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা গত সাতদিন ধরে ৬ লক্ষেরও নীচে রয়েছে। গোটা দেশে মোট করোনা আক্রান্তের মাত্র ৬.৩১ শতাংশ এখন সক্রিয় আক্রান্ত। যা অত্যন্ত ইতিবাচক ইঙ্গিত। সিকিম, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, গুজরাত, পাঞ্জাবের মতো ২৭টি রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারেরও কম। কোথাও মাত্র ২৫৪, তো কোথাও ১৯ হাজার। সেই হিসেবে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কেরল এবং পশ্চিমবঙ্গ, মূলত এই চারটি রাজ্যের আক্রান্তের বিষয়টিই কেন্দ্রের কাছে কিছুটা চিন্তার।