মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
অসমে এএমএসইউ-এর ডাকা বন্ধে প্রভাব পড়ল সাধারণ জনজীবনে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও ছ’টি সম্প্রদায়কে তপসিলি জাতির তালিকাভুক্ত করার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে এই সংগঠন। এএমএসইউর এই কর্মসূচির জেরে লখিমনগর, ধেমাজি, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, শিবসাগর, জোরহাট, মাজুলি, মোরিগাঁও, কোকড়াঝাড়, বক্সা সহ একাধিক জেলার বেশিরভাগ দোকানপাট, বাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সরকারি দপ্তরে উপস্থিতির হার ছিল অত্যন্ত কম। যদিও, বরাক উপত্যকার কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি জেলা এবং পাহাড়ি জেলা কারবি অ্যাংলং ও ডিমা হাসাওতে বন্ধের বিশেষ প্রভাব পড়েনি। গুয়াহাটিতেও এর প্রভাব ছিল নগণ্য। প্রশাসনিক এক আধিকারিক এই তথ্য জানিয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বন্ধ সমর্থকরা টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। পুলিস গিয়ে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। ধর্মঘট চলায় রাস্তায় যানবাহনও কম ছিল। ফলে বহু দেশি ও বিদেশি পর্যটক কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক ও জোরহাটে গিয়ে আটকে পড়েন। এদিকে, এএমএসইউ-র সমর্থকরা অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়ালের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ দেখায়। নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করতে ব্যর্থ হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতীকি ‘শেষযাত্রা’র আয়োজন করে তারা। ¬
এদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে নাগাদের উপজাতি সংগঠন নাগা হোহো। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কে ইলু নাদাং বলেন, আমরা নয়া সংশোধনীকে স্বাগত জানাতে পারছি না। অন্যদিকে, সোমবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে সংসদ চত্ত্বরে বিক্ষোভ দেখান অল ইউনিয়ন মুসলিম লিগের সাংসদরা। পাশাপাশি, যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ)। ¬