মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
এই ধরনের অন্য মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই রোচাকোন্ডার পুলিস কমিশনার মহেশ এম ভাগবতের নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের সিট দ্রুত তদন্ত শুরু করবে। অন্যদিকে, হায়দরাবাদের চার ধর্ষকের এনকাউন্টারের তদন্তের আবেদন গৃহীত হবে কি না, তা বুধবার ঠিক করবে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চ আইনজীবী জি এস মণির একটি নোট গ্রহণ করেছে। এনকাউন্টারে যুক্ত পুলিস আধিকারিকদের আদালতে হাজির করে দ্রুত শুনানির আবেদন করেছেন আইনজীবী জি এস মণি। পাশাপাশি আইনজীবী এম এল শর্মা কোনও প্রাক্তন বিচারপতির নজরদারিতে সিট গঠন করে তদন্তের আবেদন করেছেন। তাঁদের দু’জনেরই দাবি, তথাকথিত এনকাউন্টারটি সম্পূর্ণ ‘ভুয়ো’। যে পুলিস আধিকারিকরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়া উচিত।
গত শুক্রবার সকালে তেলেঙ্গানা পুলিসের গুলিতে চার ধর্ষক প্রাণ হারায়। পুলিসের দাবি, ঘটনার পুনর্গঠনের জন্য চারজনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। পালানোর সময় পুলিসকর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাই করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। জবাবে পুলিসের গুলিতে ঘটনাস্থলেই চার অভিযুক্ত প্রাণ হারায়। এই ঘটনায় তেলেঙ্গানা পুলিস অভিনন্দিত হলেও ভিন্নমত গঠিত হয়েছে। বিভিন্ন মহলের মত, দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগেই কীভাবে চার ব্যক্তিকে ‘ভুয়ো সংঘর্ষে’ হত্যা করল পুলিস। এইভাবে অপরাধ কমানোর প্রবণতা গ্রহণযোগ্য নয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ‘এনকাউন্টার’-এর বিরুদ্ধে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যদিও পুলিসের দাবি, ২৮ নভেম্বর রাতে ২৫ বছরের মহিলা পশুচিকিৎসককে গণধর্ষণ এবং নির্মমভাবে হত্যা করার পর পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয় চার অভিযুক্ত। যেখানে নির্যাতিতার মোবাইল ফোন, হাতের ঘড়ি এবং অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার হয়েছিল, সেখানেই গত শুক্রবার ভোরে ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্য তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই তারা পালানোর চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিস।
এই মামলায় তেলেঙ্গানা পুলিসের পাশে দাঁড়ালেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। সোমবার তিনি বিধানসভায় বলেন, ‘কেসিআর এবং তেলেঙ্গানা পুলিস অফিসারদের অভিনন্দন। গণধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা সমাজের জন্য লজ্জা। চার ব্যক্তি মহিলার স্কুটি বিকল করে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। এইরকম ভয়াবহ ঘটনার কোনও ব্যাখ্যা হয়? নিজেদের কাছে প্রশ্ন করা উচিত। ওই চারজনকে গুলি করে মারার মধ্যে কোনও অপরাধ নেই। যখন কোনও সিনেমাতে আমরা অপরাধীকে গুলি করে মারার দৃশ্য দেখলে হাততালি দিই। কিন্তু বাস্তবের অপরাধীকে সেই শাস্তি দিলে দিল্লি থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নামের ব্যক্তি এসে হাজির হয়।’