আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
শনিবার দুপুরে এসটিএফ ও কাঁকসা পুলিসের বিশাল বাহিনী হানা দেয় কাঁকসা থানার মীরেপাড়া পোস্ট অফিস এলাকার পৈরাগপুরে। সেখানেই একতলা বাড়ি মহম্মদ ইসমাইলের। তাঁর একমাত্র ছেলে হাবিবুল্লা। সেই বাড়ি থেকে দু’টি মোবাইল একটি স্মার্ট ওয়াচ, একটি ল্যাপটপ সহ বহু সন্দেহজনক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে হাবিবুল্লার জঙ্গি সংগঠনের নেতৃত্বদানের বিষয়টি নিশ্চিত হতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাঁকসা থানায় তাকে ম্যারাথন জেরা করেন এসটিএফ ও পুলিসের দুঁদে গোয়েন্দারা। তাতেই উঠে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। মামলার গুরুত্ব বুঝে কাঁকসার এসিপি সুমন যশওয়ালকে আইও (তদন্তকারী অফিসার) করা হয়েছে। হাবিবুল্লার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১, ১২১এ, ১২৩, ১২৫ ও ১৭, ১৮,১৮এ, ১৮বি, ২০ ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। অভিযুক্তকে দুর্গাপুর আদালতের ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম সাগরিকা খাতুনের এজলাসে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী অনামিত্রা দেব ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের আর্জি জানান। সেই আর্জি মঞ্জুর করেছেন বিচারক। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ছ’ মাস আগে থেকেই হাবিবুল্লার উপর নজর রাখা হচ্ছিল। কিন্তু নজরদারির সময় গোয়েন্দারা সম্ভবত আঁচ করতে পারেননি, হাবিবুল্লা বাংলাদেশের আনসার আল ইসলামের অনুমোদিত জঙ্গি মডিউল ‘শাহাদত’-এর হয়ে কাজ করছে। গোপনে তদন্ত প্রক্রিয়া যত এগিয়েছে, ততই এসটিএফের কপালের ভাঁজ চওড়া হয়েছে। কেননা, আনসার আল ইসলামের সঙ্গে সরাসরি সংস্রব রয়েছে পাকিস্তানের আল কায়েদার। ফলে, আর কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়েই হাবিবুল্লাকে জালে তুলতে মরিয়া হয়ে ওঠে এসটিএফ। সাফল্যও মেলে। জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লা গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগও।