উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
আলাপনবাবু এতদিন রাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য এবং ক্ষুদ্র, কুটির, মাঝারি ও বস্ত্র দপ্তরের প্রধান সচিবের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্বভার নেওয়ার সঙ্গেই তাঁকে সামলাতে হবে আগের দুই দপ্তরও। এদিন নবান্ন থেকে বের হওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রদবদলের বিষয়টি জানান সাংবাদিকদের। এরই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার বিষয়ে পৃথকভাবে তদন্ত করবে স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি। মমতা বলেন, যে জঘন্য কায়দায় বাংলার গৌরব বিদ্যাসাগরের মূর্তিটি ভাঙা হয়েছে, তাতে ইতিমধ্যেই দু’টি এফআইআরের ভিত্তিতে মামলা শুরু করেছে পুলিস। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৫ জনকে। এই কমিটি কীভাবে এবং কেন এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা, অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার জাভেদ শামিম, কলকাতা পুলিসের ইন্সপেক্টর কৌশিক দাস এবং বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষ।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বদলির এই পর্বে যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের প্রধান সচিব তথা জলপাইগুড়ি ডিভিশনের কমিশনার অজিত বর্ধনকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে ডিভিশনাল কমিশনার হিসেবে জলপাইগুড়িও সামলাবেন তিনি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের বর্তমান প্রধান সচিব বরুণকুমার রায় ডিভিশনাল কমিশনার হিসেবে মালদহের দায়িত্বও সামলাচ্ছিলেন। এবার থেকে শুধু ডিভিশনাল কমিশনারের পদ সামলাবেন তিনি। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব তথা ‘আনন্দধারা’ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ছোটেন ডি লামাকে অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের সচিব পদে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের সচিবের দায়িত্বও সামলাবেন। সংখ্যালঘু বিষয়ক দপ্তরের সচিব পি বি সেলিম এবার থেকে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের ভার সামলাবেন। একইসঙ্গে দেখবেন তাঁর পুরনো দপ্তরও।
নির্বাচন পর্ব শেষ হওয়ার পর শনিবারই শীর্ষ পুলিসকর্তাদের বদলির একদফা নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের তোপের মুখে পড়া জ্ঞানবন্ত সিংকে তাঁর পুরনো পদ বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটের মাথায় ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু যে বদলির তালিকা সামনে এসেছে, তাতে জ্ঞানবন্ত সিংকে করা হয়েছে রাজ্য পুলিসের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা)। এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) পদে নির্বাচনের আগেই আনা হয়েছিল সিদ্ধিনাথ গুপ্তাকে। নির্বাচন পর্বে কমিশনের নোডাল অফিসার হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। তাঁকে পাঠানো হয়েছে এডিজি (এস্টাবলিশমেন্ট) পদে। বিধাননগরের পুলিস কমিশনার হয়েছেন ডিআইজি (সিআইডি-অপারেশন) নিশাদ পারভেজ। এডিজি (এস্টাবলিশমেন্ট) জয়ন্তকুমার বসুকে ডিরেক্টর অব ইকোনমিক অফেন্সেস পদে বসানো হয়েছে। এছাড়াও এদিন রাজ্য পুলিস এবং সিআইডি’র ইন্সপেক্টর পর্যায়ের ১০ জন আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের অন্তর্গত বীজপুর, জগদ্দল এবং নোয়াপাড়া থানার আইসি’রা। রয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের এক ইন্সপেক্টরও।