উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
শনিবার সকাল থেকেই রাজীব কুমারকে নোটিস ধরানো নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়ে যায় সিবিআইয়ের দিল্লি ও কলকাতার কার্যালয়ে। সিজিও কমপ্লেক্সে দফায় দফায় বৈঠক হয়। টেলি কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দিল্লির কর্তারাও অংশ নেন। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাজীব কুমারকে জেরার জন্য ডাকা হবে। সেই মতো প্রতিনিধিদল হাজির হয় তাঁর বাড়িতে। প্রাক্তন পুলিস কমিশনারকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে যে রক্ষাকবচ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, তা উঠে গিয়েছে সপ্তাহখানেক আগেই। গ্রেপ্তারি ঠেকাতে রাজীব কুমার নতুন করে আবেদন করায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করতে হবে। সেই সময়সীমাও ২৪ মে, শুক্রবার শেষ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে রাজীব কুমার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দু’বার। তাঁর দাবি ছিল, তাঁকে আরও অতিরিক্ত সাতদিন সময় দেওয়া হোক। কারণ, এখানে আইনজীবীরা কর্মবিরতি চালাচ্ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট বলে, রাজীবকে যা বলার, নিম্ন আদালতেই বলতে হবে। ফলে সোমবারের আগে নিম্ন আদালতে যাওয়ার সুযোগও পাননি তিনি। তাই সোমবার ১০টার মধ্যেই হাজিরা দিতে সিবিআই তাঁকে নোটিস ধরানোয় রাজীবের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা প্রবল হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সারদা সহ চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলায় আদালতের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ নষ্টের অভিযোগ এনেছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি যে সিডি জমা দিয়েছিলেন সিবিআইকে, তার একটি ফাঁকা ছিল। আরেকটিতে ভিডিও এডিট করে এবং বেশ কিছু অংশ ‘ডিলিট’ করে দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় সিবিআই দাবি করে, রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে এই সব কারণে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট এবং দুর্নীতিদমন আইনে মামলা করা যায়। এ বিষয়ে আরও জানার জন্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শিলংয়ে ডাকা হয় রাজীব কুমারকে। সেখানে চলে চারদিনের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। সেখানে রাজীব কুমার যাবতীয় দায় চাপান সিটের ঘাড়ে। তিনি বলেন, সেই সময়ে তদন্তের ব্যাপারে যা করার, সিট করত। কোনও তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হয়নি। তবে সিবিআই অনেক প্রশ্নের জবাবেই সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এরপর খামবন্ধ রিপোর্ট জমা সুপ্রিম কোর্টের কাছে জমা দেয় সিবিআই। সেসব খতিয়ে দেখে রাজীবের গ্রেপ্তারির রক্ষাকবচ তুলে নেয় আদালত। ফেব্রুয়ারিতে যখন সিবিআই প্রতিনিধিদল রাজীবের বাড়িতে এসেছিল, তখন তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী পথে নেমেছিলেন সিবিআই’র বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক আচরণের অভিযোগ তুলে। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। তবে এবারে কোনওরকম বাধা দেওয়া হয়নি প্রতিনিধি দলকে।