জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইবি’র কাছে খবর আসে, জগন্নাথ ঘাট এলাকায় ভেজাল তেলের কারবার চলছে। প্রতিদিন লরি করে টিন ভর্তি সর্ষের তেল, সয়াবিন অয়েল ও তুষের তেল আসছে। এই খবরের ভিত্তিতে ওই কারখানা ও গোডাউনে যান ইবি’র অফিসাররা। সেখান থেকে তিন ধরনের তেল বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। জানা যায়, গোডাউনটি ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছেন বেহালার এক ব্যক্তি। সেখানকার কর্মীদের কাছ থেকে ভোজ্য তেলের কারবার চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় নথি চাওয়া হলে তাঁরা তা দেখাতে পারেনি। অফিসাররা জানতে পারেন, ভিন রাজ্য থেকে সর্ষের তেল, সয়াবিন অয়েল ও তুষের তেল নিয়ে আসা হচ্ছে। সর্ষের তেলের টিন খুলে তা বড় পাত্রে ঢেলে তার সঙ্গে মিশানো হচ্ছে নিম্নমানের বিভিন্ন রাসায়নিক ও তুষের তেল। একইভাবে সয়াবিন তেলও তৈরি হচ্ছে। মেশানোর জন্য আলাদা মেশিন রয়েছে। ভেজাল তেল তৈরির পর বিভিন্ন মাপের প্যাকেটে ভরে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে চলে যাচ্ছে। তাঁদের হাত ঘুরে তা পৌঁছে যাচ্ছে পাড়ার দোকানে। বাজেয়াপ্ত করা তিন ধরনের তেল পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। কয়েকদিন আগে সরকারি পরীক্ষাগার থেকে যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে বলা হয়েছে, সয়াবিন ও তুষের তেল অত্যন্ত নিম্নমানের। এই ভেজাল তেল স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। যে কোনও ধরনের বড় রোগের সম্ভাবনা রয়েছে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে কেস তদন্তকারীরা জেনেছেন, গুদাম মালিকের সঙ্গে একাধিক পাইকারি ব্যবসায়ীর যোগ রয়েছে। এই ভেজাল তেলের ক্রেতা মূলত তেলেভাজার দোকান ও ফুটপাতে চলা বিভিন্ন হোটেল।