জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘পরিষেবা দেওয়ার নাম নেই, শুধু টাকা খাওয়া! আর সহ্য করব না।’ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই হুঁশিয়ারির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে লালবাজারের অন্তর্ভুক্ত হওয়া ভাঙড় ডিভিশনের কাশীপুর থানার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন দুর্ঘটনার কবলে পড়া পিক-আপ ভ্যানের চালক। তাঁর অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে বাসন্তী হাইওয়েতে ১০০ টাকার ‘দাবি’ না মেটানোয় তাড়া করে পুলিস। তখনই ঘটকপুকুরের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মারে গাড়িটি। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন চালক ও তাঁর সহযোগী। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিসের তোলাবাজি বন্ধ হবে কবে? এপ্রসঙ্গে, কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনার (সদর) মিরাজ খালিদ বলেন, ‘আমার কাছে এমন কোনও খবর এসে পৌঁছয়নি। দুর্ঘটনার খবরও আমার কাছে আসেনি’।
পিক-আপ ভ্যানের জখম চালক তরুণ রুইদাস বলেন, মুর্শিদাবাদ থেকে কাঁঠাল নিয়ে আসছিলাম। ঘটকপুকুরের গোডাউনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, গন্তব্যের প্রায় ১ কিলোমিটার আগে গাড়ি আটকায় পুলিস। প্রথমে বলা হয়, উত্তর কাশীপুর থানার তরফে নাকা চেকিং চলছে। গাড়ির তল্লাশি নেওয়া হবে। সেই মতো গাড়ির তল্লাশি নেওয়ার পরই পুলিস বলে গাড়ির গতি বেশি ছিল। তার জন্য জরিমানা করা হবে। চালকের অভিযোগ, আমার থেকে ১০০ টাকা চাওয়া হয়। আমি ২০ টাকা দিতে চাইলে আমায় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। গাড়ি নিয়ে ঘটকপুকুরের দিকে এগতে গেলে আমাকে তাড়া করা হয়। তখনই গাড়ি নিয়ে পালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মারি।
দুর্ঘটনার জেরে ভেঙে পড়ে পোস্টটি। জখম হন চালক ও সহযোগী। তাঁদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসীর দাবি, দুর্ঘটনা ঘটেছে দেখেই পালিয়ে যায় উত্তর কাশীপুর থানার পুলিস। স্থানীয় দোকান ও রাস্তায় সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই গোটা ঘটনাটি স্পষ্ট হবে। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। উল্লেখ্য, যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি ভাঙড় থানা এলাকার অধীনে। স্থানীয়দের দাবি, উত্তর কাশীপুর থানার পুলিস তাড়া করতে করতে ভাঙড় থানা এলাকায় ঢুকে পড়েছিল।
অবশ্য টাকা তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিস। ভাঙড় ডিভিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গাড়িটি দ্রুত বেগে আসছিল। পুলিস গাড়ি থামাতে গেলে চালক পালানোর চেষ্টা করে। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। যদি কোনও পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। -নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে লালবাজারের অন্তর্ভুক্ত হওয়া ভাঙড় ডিভিশনের কাশীপুর থানার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন দুর্ঘটনার কবলে পড়া পিক-আপ ভ্যানের চালক। তাঁর অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে বাসন্তী হাইওয়েতে ১০০ টাকার ‘দাবি’ না মেটানোয় তাড়া করে পুলিস। তখনই ঘটকপুকুরের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মারে গাড়িটি। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন চালক ও তাঁর সহযোগী। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিসের তোলাবাজি বন্ধ হবে কবে? এপ্রসঙ্গে, কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনার (সদর) মিরাজ খালিদ বলেন, ‘আমার কাছে এমন কোনও খবর এসে পৌঁছয়নি। দুর্ঘটনার খবরও আমার কাছে আসেনি’।
পিক-আপ ভ্যানের জখম চালক তরুণ রুইদাস বলেন, মুর্শিদাবাদ থেকে কাঁঠাল নিয়ে আসছিলাম। ঘটকপুকুরের গোডাউনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, গন্তব্যের প্রায় ১ কিলোমিটার আগে গাড়ি আটকায় পুলিস। প্রথমে বলা হয়, উত্তর কাশীপুর থানার তরফে নাকা চেকিং চলছে। গাড়ির তল্লাশি নেওয়া হবে। সেই মতো গাড়ির তল্লাশি নেওয়ার পরই পুলিস বলে গাড়ির গতি বেশি ছিল। তার জন্য জরিমানা করা হবে। চালকের অভিযোগ, আমার থেকে ১০০ টাকা চাওয়া হয়। আমি ২০ টাকা দিতে চাইলে আমায় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। গাড়ি নিয়ে ঘটকপুকুরের দিকে এগতে গেলে আমাকে তাড়া করা হয়। তখনই গাড়ি নিয়ে পালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মারি।
দুর্ঘটনার জেরে ভেঙে পড়ে পোস্টটি। জখম হন চালক ও সহযোগী। তাঁদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসীর দাবি, দুর্ঘটনা ঘটেছে দেখেই পালিয়ে যায় উত্তর কাশীপুর থানার পুলিস। স্থানীয় দোকান ও রাস্তায় সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই গোটা ঘটনাটি স্পষ্ট হবে। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। উল্লেখ্য, যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি ভাঙড় থানা এলাকার অধীনে। স্থানীয়দের দাবি, উত্তর কাশীপুর থানার পুলিস তাড়া করতে করতে ভাঙড় থানা এলাকায় ঢুকে পড়েছিল।
অবশ্য টাকা তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিস। ভাঙড় ডিভিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গাড়িটি দ্রুত বেগে আসছিল। পুলিস গাড়ি থামাতে গেলে চালক পালানোর চেষ্টা করে। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। যদি কোনও পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। -নিজস্ব চিত্র
