জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
মামলার বয়ান সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বাসিন্দা শেখ সাহেব রুরকিতে সেনাবাহিনীর এসপিআর পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর মা মেহেরুন বিবির অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর উপর মানসিক চাপ তৈরি করছিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যার জেরে ছেলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ৩০ মে কমান্ড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বাড়ি থেকে রওনা দেন শেখ সাহেব। ওই দিনই দুপুরে ভর্তি হন হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। অভিযোগ, চিকিৎসা চলছে একথা জানার পরও তাঁকে ১ জুন সকাল ১০টা মধ্যে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলার বয়ান সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই দিন সকাল ৯টা পর থেকে ওই জওয়ানের আর কোনও খোঁজ পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আলিপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে ও পরিবারকে একথা জানায়।
এরপর পরিবারের তরফে পুলিস ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ওই জওয়ানের কোনও হদিশ মেলেনি। বুধবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে গোটা ঘটনা তুলে ধরেন মেহেরুন বিবির আইনজীবী পঙ্কজ হালদার। বিষয়টি শুনে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, কমান্ড হাসপাতালের মতো এত সুরক্ষিত জায়গা থেকে কীভাবে একজন নিখোঁজ হয়ে গেলেন? তাহলে হাসপাতাল চালু রাখার দরকার কী? আপাতত এবিষয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য তলব করেছে হাইকোর্ট। আজ, বৃহস্পতিবার ফের মামলার শুনানির সম্ভাবনা।