হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: অন্যদের তিরস্কার করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশংসা করেছিলেন হাবড়া ও মধ্যমগ্রাম পুরসভার। ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্পে ভালো কাজের জন্য প্রশংসা এই কুড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার এই দুই পুরসভা। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সার্টিফিকেট আগামী দিনে কাজের ক্ষেত্রে তাদের অক্সিজেন জোগাবে বলে জানালেন দুই পুরসভার চেয়ারম্যানই। হাউস ফর অল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৫-’১৬ সালে। সেই বছরে রাজ্য সরকারের নগর জীবিকা মিশনের পক্ষ থেকে মধ্যমগ্রাম পুরসভাকে ৪৪১টি বাড়ি তৈরির বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের টাকা রয়েছে। পুরসভায় বসবাসকারীদের মধ্যে যাঁদের ছাদ দেওয়া বাড়ি নেই, তাঁরাই এই প্রকল্পে পুরসভার কাছে আবেদন করেন। সে বছর বরাদ্দের ৪৪১টি বাড়ি মধ্যমগ্রাম পুরসভা তৈরি করে। ২০১৬-’১৭ আর্থিক বছরে বরাদ্দ ছিল ১৫১০টি বাড়ি। তৈরি হয় ১৪৪৭টি। ২০১৭-’১৮ সালে বরাদ্দের ৭২৮ বাড়ির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ২০১৮-’১৯ সালে বরাদ্দ ছিল ১৫৬৩টি। তার মধ্যে শেষ হয় ১১৩৪টি। ’১৯-’২০ সালে বরাদ্দ ছিল ১১২০টি। শেষ হয়েছে মাত্র ৩৬০টি বাড়ি। সেই সময় কভিডের দাপট ছিল। ফলে হাউস ফর অল প্রকল্পের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ২০২১-’২২ সালে বরাদ্দ ছিল ১০০০ বাড়ির। শেষ হয়েছে মাত্র ৪২টি। এই বছরেই আবাস যোজনার টাকা বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে প্রকল্পের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। কেন্দ্রের টাকা বন্ধ হওয়ার ফলে কিছু বাড়ির কাজ অর্ধসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে সোমবার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশংসা করেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার। হাবড়া পুরসভাও হাউজ ফর অল প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসার তালিকায় রয়েছে। ওই পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে ১১ হাজার ১৭৮ জন উপভোক্তা আবেদন করেছিলেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর ন’হাজার ৪৪৫টি বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৪৮৫টি বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে চার হাজার ৪৬০টি বাড়ির কাজ চলছে। মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, ‘হাউস ফর অল প্রকল্পের কাজের জন্য পুরসভার এই দপ্তরের সকলেই একজোট হয়ে কাজ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসার পরে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। অনান্য কাজের ক্ষেত্রেও আমাদের অক্সিজেন সাপ্লাই বাড়ল।’ হাবড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশংসা পেয়ে ভালো লাগছে। আগামী দিনে পুরসভা নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যেতে পারে, সেই জন্য সচেষ্ট থাকব।’
