উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের তপনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেপুর রথতলায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অবশেষে একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। বুধবার রাতে হাটগাছা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব বাউড়িয়া থেকে শেখ হাফিজুরকে (৩৫) উলুবেড়িয়া থানার পুলিস পাকড়াও করেছে।
বর্ষা শুরু হতেই ভাঙতে শুরু করেছিল রাস্তা। মাসখানেক আগে তাপ্পি মেরে (প্যাচ ওয়ার্ক) মেরামতিও হয়েছিল। লাভ হল না। ফের বেহাল অবস্থা এজেসি বোস-মা ফ্লাইওভারে কানেক্টরের। শহরের সবচেয়ে ব্যস্ত ফ্লাইওভারে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে গিয়েছে।
দেশে একমাত্র কলকাতা মেট্রো পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় রেল। একই সঙ্গে প্রতিবছর লোকসানের বহর বাড়িয়ে রেলের ধারাবাহিক আর্থিক ক্ষতি করছে এই সংস্থা। কর্মচারী সংগঠনগুলির অভিযোগ, কিছু অদক্ষ অফিসারের সৌজন্যে কলকাতা মেট্রোর এই দুরবস্থা।
মঙ্গলবার গোটা রাত ঘুমোননি। তবে চোখে মুখে ক্লান্তি এতটুকুর ছাপ নেই। তিলজলায় ছ’বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ- খুনে দোষী সাব্যস্তের সাজা ঘোষণার দিন এজলাসেও ঢোকেননি নির্যাতিতার দাদু। বিচারের আশায় দীর্ঘ দেড় বছরের অপেক্ষা!
আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: অন্যদের তিরস্কার করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশংসা করেছিলেন হাবড়া ও মধ্যমগ্রাম পুরসভার। ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্পে ভালো কাজের জন্য প্রশংসা এই কুড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার এই দুই পুরসভা। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সার্টিফিকেট আগামী দিনে কাজের ক্ষেত্রে তাদের অক্সিজেন জোগাবে বলে জানালেন দুই পুরসভার চেয়ারম্যানই। হাউস ফর অল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৫-’১৬ সালে। সেই বছরে রাজ্য সরকারের নগর জীবিকা মিশনের পক্ষ থেকে মধ্যমগ্রাম পুরসভাকে ৪৪১টি বাড়ি তৈরির বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের টাকা রয়েছে। পুরসভায় বসবাসকারীদের মধ্যে যাঁদের ছাদ দেওয়া বাড়ি নেই, তাঁরাই এই প্রকল্পে পুরসভার কাছে আবেদন করেন। সে বছর বরাদ্দের ৪৪১টি বাড়ি মধ্যমগ্রাম পুরসভা তৈরি করে। ২০১৬-’১৭ আর্থিক বছরে বরাদ্দ ছিল ১৫১০টি বাড়ি। তৈরি হয় ১৪৪৭টি। ২০১৭-’১৮ সালে বরাদ্দের ৭২৮ বাড়ির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ২০১৮-’১৯ সালে বরাদ্দ ছিল ১৫৬৩টি। তার মধ্যে শেষ হয় ১১৩৪টি। ’১৯-’২০ সালে বরাদ্দ ছিল ১১২০টি। শেষ হয়েছে মাত্র ৩৬০টি বাড়ি। সেই সময় কভিডের দাপট ছিল। ফলে হাউস ফর অল প্রকল্পের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ২০২১-’২২ সালে বরাদ্দ ছিল ১০০০ বাড়ির। শেষ হয়েছে মাত্র ৪২টি। এই বছরেই আবাস যোজনার টাকা বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে প্রকল্পের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। কেন্দ্রের টাকা বন্ধ হওয়ার ফলে কিছু বাড়ির কাজ অর্ধসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে সোমবার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশংসা করেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার। হাবড়া পুরসভাও হাউজ ফর অল প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসার তালিকায় রয়েছে। ওই পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে ১১ হাজার ১৭৮ জন উপভোক্তা আবেদন করেছিলেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর ন’হাজার ৪৪৫টি বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৪৮৫টি বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে চার হাজার ৪৬০টি বাড়ির কাজ চলছে। মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, ‘হাউস ফর অল প্রকল্পের কাজের জন্য পুরসভার এই দপ্তরের সকলেই একজোট হয়ে কাজ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসার পরে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। অনান্য কাজের ক্ষেত্রেও আমাদের অক্সিজেন সাপ্লাই বাড়ল।’ হাবড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশংসা পেয়ে ভালো লাগছে। আগামী দিনে পুরসভা নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যেতে পারে, সেই জন্য সচেষ্ট থাকব।’
