হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
স্থায়ী কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৪ সালে ব্লক ও পুরসভা এলাকায় একটি করে ‘কর্মতীর্থ’ ভবন তৈরির ঘোষণা করেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠী, কারিগর ও দরিদ্র ব্যবসায়ীরা নিজেদের পণ্য সেখানে বিক্রি করতে পারবেন বলে জানানো হয়। পাশাপাশি স্থানীয় হকারদেরও স্টল দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই মতো গত পুরবোর্ডের আমলে বারাসত পুরসভা চাঁপাডালি মোড়ে তৈরি করেছিল কর্মতীর্থ। দু’তলা সে ভবনের উপরে রয়েছে ৪৬টি ও নীচে ৪৫টি স্টল। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হয়েছিল দু’কোটি ৯১ লক্ষ টাকা। তবে তৈরির পর প্রায় দু’বছর হল তা বন্ধ পড়ে রয়েছে। তালা ঝুলছে নীল-সাদা রং করা দরজায়। পুর আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, মূলত রাস্তার দু’ধারে ব্যবসা করা ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থেই এটি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু মানুষের অভিযোগ, বছরের পর বছর তা বন্ধ। ফলে রাস্তা জবরদখল যেমনকার তেমনই রয়ে গিয়েছে। এর হাত ধরে বেড়েই চলেছে যানজট। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নাগরিক যন্ত্রণাও। মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের সভাঘরে বৈঠক করে যানজট ও নাগরিক পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তারপর কর্মতীর্থটি চালু করা নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছে পুরসভা। তবে মঙ্গলবারও তা নিয়ে কোনও তৎপরতা চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ নাগরিকদের। মহকুমা শাসক সোমা দাস এ বিষয়ে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এ নিয়ে পুরসভার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।’ আর বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘দ্রুত চালু করা হবে কর্মতীর্থ। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বেআইনি জবরদখলের বিরুদ্ধেও প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’ নিজস্ব চিত্র