আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই হিন্দমোটরে সিসি ক্যামেরা চুরির ঘটনা ঘটেছিল। তারপরও বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরপাড়া বাজার এলাকায় সিসি ক্যামেরা চুরি হতে শুরু করেছিল। মঙ্গলবার সেই ঘটনায় দু’জন দুষ্কৃতীকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া সিসি ক্যামেরা। তবে গৃহস্থের বাড়ি থেকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান— প্রায়শই দুষ্কৃতী হানার কবলে পড়ায় সার্বিক সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিনই চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের পদাধিকারীরা উত্তরপাড়া থানায় সিসি ক্যামেরা চুরি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা জানিয়েছেন, শিমূলতলার আবাসনে চুরির ঘটনার দ্রুত কিনারা হবে। সেইসঙ্গে তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধ করেছেন, রাতের দিকে অচেনা লোকের আনাগোনা ও তাদের আচার-আচরণ সন্দেহজনক বলে মনে হলে পুলিসকে খবর দিন। কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা বলেন, উত্তরপাড়ায় পুলিসের বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে। সব ধরনের অপরাধ রুখতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ করা হবে। ভদ্রকালীর শিমূলতলার ওই আবাসনের দোতলার ফ্ল্যাটের বাসিন্দা রাণুদেবী তাঁর মেয়েকে নিয়ে একটি ঘরে ছিলেন। সেই ঘরে এসি চলায় দরজা, জানালা সবই বন্ধ ছিল। রানুদেবী জানিয়েছেন, তিনি কিছুই টের পাননি। ভোরবেলা ঘুম ভাঙার পর পাশের ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন, দরজা খুলতে পারছেন না। বেলা বাড়তে এক কাঠমিস্ত্রিকে ডেকে দরজা ভাঙা হয়। তখনই দেখা যায়, গোটা ঘর লণ্ডভণ্ড। দুষ্কৃতীরা জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকেছিল। তারা ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। যাতে ঘরে কেউ ঢুকতে না পারে। এদিকে, সিসি ক্যামেরা চুরির তদন্তে পুলিস চারটি দল গঠন করে সোমবার রাতে অভিযানে নামে। গভীর রাতে দুই বাইক অরোহীকে দেখে পুলিসের একটি টহলদারি দলের সন্দেহ হয়। তারা দু’জনকে ধরে ফেলে। তাদের কাছ থেকে চোরাই সিসি ক্যামেরা বাজেয়াপ্ত হয়। মজার কথা এই যে, পুলিসই জানিয়েছে, সেগুলি সোমবার রাতেই চুরি হয়েছিল। উত্তরপাড়া থানার পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রথীন রায় ও হরষিৎ চিকলিয়া। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র