হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
কয়েক মাস আগে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়েছিল পুরসভা। জানা গিয়েছে, ১৫০ ইচ্ছুক আবেদন জানিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে ৩০ জনকে। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল ও শনি ক্লাস হবে। আবেদনকারীকে ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হবে। প্রথমে জানুয়ারি থেকে কোর্স চালুর কথা ছিল। কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা সিলেবাস তৈরির কাজ করছেন। তাঁরা প্রশিক্ষণও দেবেন। সময়ের সঙ্গে পরিবেশ দূষণের উৎস এবং ধারণায় বদল এসেছে। সেই বিষয়গুলিই হাতে কলমে শেখানো হবে পড়ুয়াদের। তারপর বরোভিত্তিক টিম তৈরি হবে। শুরু হবে সচেতনতা প্রচার।
কলকাতা শহরে দূষণ ঠেকাতে গাছ বসানো, রাস্তার ধুলো নিয়ন্ত্রণে জল দেওয়া সহ নানা পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই নিয়েছে পুরসভা। এসবের সঙ্গেই পরিবেশের দূষণ কমাতে নয়া হাতিয়ার হিসেবে সামনে আসতে চলেছেন পরিবেশ যোদ্ধারা। পুরসভার পরিবেশ বিভাগের মেয়র পরিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘পরিবেশ বিজ্ঞানী, চিকিৎসকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই কমিটি সিলেবাস তৈরি করছে। এক মাসের কোর্স। প্রশিক্ষণ শেষে পুরসভা সার্টিফিকেট দেবে। প্রশিক্ষিতরা নিজের এলাকায় পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।’ পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুরসভার সীমিত লোকবল শহরের পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। এই কমব্যাট ফোর্স বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দূষণের ছোট ছোঠ উৎস চিহ্নিত করে তা বন্ধ করবে। মানুষকে সচেতন করার কাজ করবে। পরিবেশ বিজ্ঞানী ডঃ স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, ‘শহরের বহু মানুষ পরিবেশের দূষণ নিয়ে সচেতন নন। সার্ভে করে দেখা গিয়েছে, পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্যর পার্থক্য করার ধারণাটুকুও বহু মানুষের মধ্যে নেই। মানুষকে এই শিক্ষা দিতে পারলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এই বিশেষ কোর্সে ফিল্ড ওয়ার্কের উপর বেশি করে জোর দেওয়া হবে।’