বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
কামারহাটির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার কামালউদ্দিন আনসারি ও আনোয়ার হুসেনের দীর্ঘদিনের বিবাদ। আনোয়ারও এলাকায় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত। দুই জনের এলাকা দখল ঘিরে প্রায়শই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুক্রবার ঘটনার সূত্রপাত বারাকপুর মহকুমা আদালতে। এদিন দুই গোষ্ঠীই আদালতে একটি মামলার জন্য গিয়েছিল। সেখানে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তর্কাতর্কি বাধে। একে অপরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে পাঁচটা নাগাদ কামালউদ্দিনের ছেলে একরামউল হক আনসারি বাইকে চাপিয়ে মেয়েকে টিউশন থেকে বাড়ি আনছিলেন। সেই সময় কামারহাটি পাঁচমাথা মোড়ের কাছে তাঁর উপর হামলা চালায় আনোয়ারের লোকজন বলে অভিযোগ। তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়।
এই ঘটনার খবর পেয়েই কামালউদ্দিনের লোকজন দ্রুত এসে পড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি, দু’-তিন রাউন্ড গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। গ্রাহাম রোড, ম্যাকেঞ্জি রোড, গলিঘাট, ষষ্ঠীতলা মুহূর্তে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। রাস্তায় থাকা ১০-১২টি বাইকে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি চার চাকার গাড়ি। বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। চোখের সামনে বাইকে আগুন, বোমা, গুলির আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে চারটি পাড়ার মানুষ। দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যায়। বাড়ি দরজা, জানালাও বন্ধ করে দেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়েই বেলঘরিয়া থানার পুলিস ও দমকল আসে ঘটনাস্থলে। তবে পুলিস প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। পুলিসের সামনেই বোমাবাজি, বাইকে আগুন ধরানোর ঘটনা ঘটে। রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বারাকপুর পুলিস কমিশনার মনোজ বর্মা। তাঁরই নেতৃত্বে র্যা ফ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দুই তৃণমূল নেতার এলাকা দখল ঘিরেই এই অশান্তির ঘটনা। নানান অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত এই দুই নেতার অনুগামীরা। তোলাবাজি থেকে জুয়া, সাট্টা চালানো নানান কারবার রয়েছে। আর এসব নিয়ে দখলদারি ঘিরে বারবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কামারহাটি। তৃণমূল কাউন্সিলার কামালউদ্দিন বলেন, আমার ছেলের মাথার কোপ মেরেছে আনোয়ারের লোকজন। ওরাই বোমা, গুলি চালিয়েছে। বাইকে আগুন ধরিয়েছে। আজকের এই পরিস্থিতির জন্য ওরাই দায়ী। আমাদের ছেলেরা কিছু করেনি।
আনোয়ার হুসেনের বক্তব্য মেলেনি। প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, দু’দিন আগে কামারহাটিতে ক্রিকেটার ইরফান পাঠান এসেছিলেন। শান্ত ছিল এলাকা। কামারহাটির মানুষ শান্তি চায়। পুলিস প্রশাসন রয়েছে। এই ঘটনা দলের কোন অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে হয়নি। আমি এলাকায় রয়েছি।