নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাগরেমেলায় যাওয়া ও আসার গেটওয়ে হল কাকদ্বীপ শহর। গত এক সপ্তাহ ধরে সেই শহরের উপর দিয়ে লাখে লাখে তীর্থযাত্রীদের যাওয়া-আসার জন্য চারপাশ জুড়ে আবর্জনা জমে গিয়েছে। তার জেরে দুর্গন্ধ হচ্ছিল। শুক্রবার সেই সব আবর্জনা সাফাইয়ের ঝাঁটা, বালতি, ব্যাগ হাতে নামলেন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক মৃণাল রানো, মহকুমা শাসক শৌভিক চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক বিডিও এবং প্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধিরা। এছাড়াও ছিলেন শতাধিক সাফাই কর্মী।
এদিন সকাল থেকে নতুন রাস্তার মোড়, থেকে লট-৮, হারউড পয়েন্ট সহ কাকদ্বীপ মহকুমা শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় সাফাই চলে। মন্ত্রী জানান, সকলকে নিয়ে এই সাফাইয়ের উদ্দেশ্য হল, মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিন ও ক্লিন গঙ্গাসাগরের স্লোগানকে বাস্তবায়িত করা। এদিন বিকেলে কাকদ্বীপে সাফাইকর্মীদের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁদের হাতে শংসাপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন সুন্দরবন বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী। অন্যদিকে, সরকারিভাবে বৃহস্পতিবার সাগরমেলা শেষ হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সাগর থেকে কচুবেড়িয়া এবং মুড়িগঙ্গায় ভেসেল ভাড়া মেলার সময়ের মতোই নেওয়া হচ্ছে। এদিন দুপুরে সাগর থেকে ফেরা মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা এক তীর্থযাত্রী সহ ৫০ জনের একটি দলের কাছ থেকে (৪০টাকা) সেই ভাড়া নেওয়া হয়। বিজেপি নেতা সুফল ঘাটু ওই দলের সঙ্গে ফিরছিলেন। সেই সময় কচুবেড়িয়া জেটিঘাটে মেলার সময়ের ভাড়া নিলে শোরগোল পড়ে যায়। সুফলবাবু বলেন, বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক পি উলগানাথনের কাছে অভিযোগ করা হয়। এক ঘণ্টার মধ্যে জেলাশাসক অতিরিক্ত ভাড়া ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বাস ও ভেসেলে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, মেলার বর্ধিত ভাড়া আর নেওয়া যাবে না। আগের ভাড়াই যাত্রীদের কাছ থেকে নিতে হবে।
জয়নগরে প্রতিমা চুরির কিনারা: জয়নগর থানা এলাকার ঢিবেরহাটের ভঞ্জবাড়ির দুর্গা ও লক্ষ্মী প্রতিমা চুরির কিনারা হল। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ক্যানিংয়ের বিভিন্ন জায়গাতে অভিযান চালিয়ে চুরি চক্রের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। লক্ষ্মী প্রতিমার শরীরের ভাঙা অংশ পাওয়া গিয়েছে। দুর্গা প্রতিমার খোঁজ চলছে।