হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
খাতড়া মহকুমা কৃষি দপ্তরের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ ড. দেবীপ্রসাদ নায়ক বলেন, যন্ত্রের মাধ্যমে সারেঙ্গা এবং সিমলাপাল ব্লকে উন্নত পদ্ধতিতে আমন ধানের চাষ করা হচ্ছে। এভাবে চাষ করার ফলে কৃষকের একদিকে আয় বাড়বে। অন্যদিকে বেশি পরিমাণে ফলন পাওয়া যাবে। তাই আমরা বিষয়টির দিকে বেশি করে গুরুত্ব দিচ্ছি। খাতড়া মহকুমার কৃষি আধিকারিক গনেশচন্দ্র সিং বলেন, এই ধরনের চাষ করার ক্ষেত্রে কৃষি দপ্তর থেকে কিছুটা সাহায্য করা হচ্ছে। তাছাড়া এই এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। তাই যাতে অন্যান্য ব্লকের চাষিরা একইভাবে যন্ত্রের মাধ্যমে উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করে সেব্যাপারেও আমরা উৎসাহিত করব।
সিমলাপাল ব্লক কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে সিমলাপাল ব্লকের বেলগেড়িয়া গ্রামে এক জায়গাতেই ওইভাবে চাষ করা হচ্ছে। ব্লক কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, আপাতত ১০০ বিঘে জমিতে চাষ করে একটি প্রদর্শনী ক্ষেত্র গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই জন্য কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে চাষিদের সাহায্য করা হচ্ছে। তাছাড়া বেলগেড়িয়া গ্রামের চাষিদের ইতিমধ্যেই দু’বার যন্ত্রের মাধ্যমে চাষ করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। সিমলাপাল ব্লক কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, বীজ কেনা, মেশিনের সাহায্যে লাগানোর খরচ, সিড বেড তৈরি খরচের ক্ষেত্রে চাষিদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। সিমলাপাল ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা শঙ্করদেব গায়েন বলেন, আধুনিক প্রকল্পে চাষের ক্ষেত্রে এখানে চাষিদের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যন্ত্রের মাধ্যমে কীভাবে বীজতলা রোপন করা হবে। কীভাবে ধান কাটা হবে সেই বিষয়ে চাষিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে সারেঙ্গা ব্লকের গড়গড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তালডিহা, ছোটসারেঙ্গা, নেকড়াপাহাড়ি এবং কুলডিহা ওই চারটি গ্রামের মোট ৫০ বিঘা কৃষি জমিতে কৃষি দপ্তরের পক্ষ যন্ত্রের মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে। সারেঙ্গা ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা বিশ্বজিৎ বসু বলেন, এখন বীজতলা তৈরির কাজ চলছে। এখনও ধান লাগানোর সময় আসেনি। মোটামুটি দিন কুড়ি পর ধান লাগানোর কাজ শুরু হবে।
মহকুমা কৃষি দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ডিআরআর ৪২ প্রজাতির ধানের বীজ তৈরি করা হচ্ছে। জমিতে নির্দিষ্ট জায়গায় মাপ করে সেখানে যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের বীজ রোপন করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে যে চারা তৈরি হবে সেগুলিকে যন্ত্রের মাধ্যমে তুলে ফের কৃষিজমিতে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে লাগানো হবে। আর পুরো পদ্ধতি সারেঙ্গা এবং সিমলাপাল ব্লকের চাষিদের কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা সারেঙ্গা এবং সিমলাপালের ওই জায়গাগুলিতে ‘সিড বেড’ তৈরির কাজ দেখে এসেছেন।
খাতড়া মহকুমা কৃষি দপ্তরের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ ড. দেবীপ্রসাদ নায়ক আরও বলেন, সিমলাপাল এবং সারেঙ্গায় সুন্দরভাবে সিড বেড তৈরি কাজ হয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক কম জলে বীজতলা তৈরি করা যাচ্ছে। পূর্ব ভারতে চাষের ক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লব ঘটাতেই এই ধরনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।