হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, খরাপ্রবণ বাঁকুড়ায় অধিকাংশ জলাশয়ে গ্রীষ্মকালে জল শুকিয়ে যায়। সারাবছর পর্যাপ্ত জল না থাকায় দীর্ঘমেয়াদি মাছচাষের পক্ষে তা উপযোগী নয়। তাই বাঁকুড়ায় এর আগেও ময়না মডেলে মাছচাষের পরিকল্পনা করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তাছাড়া ময়না মডেলের জন্য নির্দিষ্ট পাঁচ হেক্টর আয়তনের জলাশয় এলাকায় খুব কম রয়েছে। তাই আয়তনে ছোট হলেও ওই মডেলের মূল ছক অনুসরণ করে জেলায় ছোট ছোট জলাশয়েও মাছচাষ করা যায় কিনা তা নিয়ে মৎস্য বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান। তাঁদের পরামর্শে সম্প্রতি দুই হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট জলাশয়ে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ময়না মডেলে মাছচাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেইমতো প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। তাতে মাছের চারার সংখ্যা কমানো হয়েছে। প্রতি দু’হেক্টর আয়তনের জলাশয়ের জন্য ২৪ হাজার মাছের চারা ছাড়া হবে। মূলত রুই, কাতলা ও মৃগেল, এই তিন ধরনের মাছের চারা ছাড়া হবে। প্রতিটি চারার ওজন দেড়শো থেকে দুশো গ্রাম থাকবে। খাবার দেওয়া হবে চার টন। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ছাড়াও কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন তৈরির যন্ত্র দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে এক ইউনিটে খরচ হবে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা। যার সিংহভাগই দেবে রাজ্য সরকার। এক বছর পরে প্রতি ইউনিটে মাছ বিক্রি হবে প্রায় ২৫ হাজার কেজি। কেজি প্রতি দর ১৬০ টাকা হলে মোট আয় হবে ৪০ লক্ষ ১২ হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকবে প্রায় সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকা। প্রকল্প সফল হলে বাঁকুড়ায় মাছের জোগান বাড়বে। তাতে দামও কিছুটা কমবে।