হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষি আধিকারিক জোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, ট্রাক্টরের লাঙল উঠে গিয়ে এখন নতুন প্রযুক্তি এসেছে রোটাভেটর যা চাষের জমির পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। কৃষকদের এনিয়ে সচেতন করা সত্ত্বেও তাঁরা রোটাভেটর ব্যবহার করে জমি চাষ করছেন। কঠোর আইন না করলে রোটাভেটরের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব নয়। কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, জেলায় বর্ষা মরশুমে ১ লক্ষ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। জেলার চাহিদা মেটার পরেও উৎপাদিত ফসল বাইরে বিক্রি হয়। জেলায় এখন ট্রাক্টরের লাঙল উঠে গিয়ে খুব অল্প সময়ে জমি চাষ করার জন্য রোটাভেটর ব্যবহার শুরু হয়েছে। যা কৃষি জমির পক্ষে ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়াবে। এনিয়ে কৃষকদের সচেতন করা সত্ত্বেও রোটাভেটর ব্যবহার করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনছেন। কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, আমরা দপ্তর থেকে চাষের জমির মাটি পরীক্ষা করে রাজ্যে রিপোর্ট পাঠিয়ে থাকি। কয়েক বছর ধরে জেলাজুড়ে রোটাভেটর ব্যবহার শুরু হওয়ায় চাষের জমির ভয়ঙ্কর পরিবর্তন এসেছে। মাটির গঠনতন্ত্র পাল্টে গিয়েছে। মাটির কৌশিক নল বন্ধ হয়ে পড়ায় বৃষ্টি হলেও মাটির নীচে জল পৌঁছচ্ছে না। আগামী দিনে এই পদ্ধতি বন্ধ না করতে পারলে জেলাজুড়ে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। ফসলের উৎপাদন অনেক কমেছে, গুণগত মানও খারাপ হয়ে গিয়েছে। ফসলে রোগ পোকার আক্রমণ দ্বিগুণ হয়েছে। পরিবেশকে বাঁচাতে সব চাষিকে এগিয়ে আসতে হবে। কৃষি দপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী চাষাবাদ করতে হবে। গঙ্গারামপুরের কৃষক যতীন সরকার বলেন, এখন সমস্ত ট্রাক্টরে রোটাভেটর লাগানো থাকে। সাধারণ আগের হাল ট্রাক্টরে নেই। শুধু চাষিদের দোষ দিলে হবে না। সরকারকে আইন করে রোটাভেটর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তবেই এর ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব। গ্রামীণ কৃষকরা এসব বোঝেন না, সরকারকেই পরিবেশ বাঁচাতে পদক্ষেপ করতে হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষি নির্ভরশীল জেলা হিসেবে পরিচিত। এই জেলায় কোনও শিল্প নেই। জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। জেলা কৃষি দপ্তরের চালানো অনুসন্ধানে রোটাভেটর ব্যবহারের খারাপ দিকগুলি বেরিয়ে এসেছে। আইন করে জেলায় রোটাভেটর বন্ধ করতে না পারলে আগামীদিনে পানীয় জলের সঙ্কট বাড়বে, কমবে জমির উৎপাদন ক্ষমতা। কৃষকদের সচেতন করা সত্ত্বেও সময় বাঁচাতে তাঁরা জমির ক্ষতি ডেকে নিয়ে আসছেন। পরিবেশের ভারসাম্য বাঁচাতে জেলার কৃষক গোষ্ঠীগুলিকেও একসঙ্গে কাজ করা উচিত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।