যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
গত শনিবার কলকাতায় ‘৯৯৯’ বিশুদ্ধতার সোনার প্রতি ১০ গ্রামের খুচরো দর পৌঁছেছিল ৭১ হাজার ৭৫০ টাকায়। রবিবার সোনার পাইকারি বাজার বন্ধ ছিল। সোমবার বাজার খোলার পর সেই দাম ছুঁল ৭২ হাজার ১০০ টাকা। অর্থাৎ দাম বাড়ল ১০ গ্রাম পিছু ৩৫০ টাকা। এদিন ২২ ক্যারেট হলমার্কযুক্ত সোনার ১০ গ্রামের দর গিয়েছে ৬৮ হাজার ৫৫০ টাকা। ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ান মার্চেন্টস অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সোনার এই দর পাওয়া গিয়েছে। দাম বেড়েছে রুপোরও। সোমবার কেজি পিছু রুপোর খুচরো দর গিয়েছে ৮১ হাজার ৯৫০ টাকা। গত শনিবার তা ছিল ৮১ হাজার টাকা। এই দরগুলির উপর ৩ শতাংশ হারে জিএসটি মেটাতে হবে ক্রেতাকে।
দেশের গুড়ি পরোয়া, উগাদির মতো আঞ্চলিক উৎসবগুলির পাশাপাশি চলতি মাসেই আছে ঈদ বা চৈত্র নবরাত্রির মতো উৎসব। ১ বৈশাখে সোনার গয়না কেনার প্রচলন বাংলায় বহুদিনের। সামগ্রিকভাবে এই উৎসবগুলিতে এবারও সোনার বাজার ভালো থাকবে বলেই মনে করছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল। এখানকার ভারতীয় সিইও শচীন জৈন বলেন, ইতিমধ্যেই কিন্তু উৎসবের জন্য বায়না শুরু হয়ে গিয়েছে দোকানগুলিতে। ক্রেতারা অগ্রিম টাকা জমা করতে শুরু করেছেন। তা থেকে আশা করা যায়, সামনের দিনগুলিতে বাজার ভালো যাবে। তাছাড়া সোনার সঙ্গে দেশের মানুষের সাংস্কৃতিক বন্ধন জড়িয়ে। তাই দাম বাড়লেও, সোনা কেনার মানসিকতায় খামতি থাকে না। তাই উৎসবের মরশুমে দেশীয় বাজারে সোনার চাহিদা বাড়বে বলেই মনে করছেন শচীন জৈন। তবে তাঁর চিন্তা অন্যদিকে। যেহেতু লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি চলছে সর্বত্র, তাই নগদ টাকার সঙ্গে সোনার গতিবিধিতে সর্বক্ষণ নজরদারি থাকছে। সোনার বাজার এতে মার খাবে। উৎসব পর্ব মিটলে, সোনার কেনাবেচা অনেকটা কমবে বলেই ধারণা তাঁর। সেক্ষেত্রে যদি সোনার দাম কমে বা স্থিতিশীল হয়, তাহলেও বাজার চাঙ্গা করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন তিনি। তার প্রভাব চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে পড়বে, ধারণা তাঁর।