যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
চলতি মাসে প্রায় প্রতিদিনই সোনার দাম নজির গড়েছে। ফলে থেকে থেকেই থমকে গিয়েছে বাজার। স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি সমর দে বলেন, ‘আচমকা সোনার দাম অনেকটা বাড়লে বাজার কিছুটা থমকে যাওয়া স্বাভাবিক। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।’ তিনি জানান, একই সঙ্গে যোগ হয়েছে অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার সময়সীমা। প্রতি বছরই ক্রেতাদের একাংশ অর্থবর্ষ শেষ লগ্নে সোনা কেনায় রাশ টানেন। এবারও তার প্রভাব রয়েছে। তবে সোনার এই চড়া দাম একবার ক্রেতাদের কাছে সয়ে গেলে, তাঁরা ফের বাজারমুখী হন। সামনেই বিয়ের লগন। তাই ক্রেতারা কেনাকাটা করার উৎসাহ পাবেন নতুন করে। ব্যবসায়ী মহলের আশা, সোনার দাম চড়া থাকা সত্ত্বেও পয়লা বৈশাখে বাজার ভালো থাকবে। দাম অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় পুরনো সোনার বিনিময়ে নতুন গয়না তৈরির প্রবণতা একটু বেড়েছে বলে দাবি করেছেন বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার। তিনি বলেন, ‘বড় দোকানগুলিতে যেখানে ৪০ শতাংশ ব্যবসা মার খেয়েছে, সেখানে ছোট দোকানগুলিতে বিক্রিবাটা কমেছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে যেখানে কারিগররাই দোকান চালান, সেখানে ব্যবসা প্রায় থমকে গিয়েছে। অনেকেই পুরনো সোনার বিনিময়ে নতুন গয়না গড়াতে আসছেন। কিন্তু নিয়মের গেরোয় তাঁরাও আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তার অন্যতম কারণ জিএসটি।’
তিনি জানান, আগে ৫০ গ্রাম সোনার গয়না গড়িয়ে বিনিময়ে ৩০ গ্রাম পুরনো সোনা দিতেন, তাহলে নতুন গয়না হিসেবে ২০ গ্রাম সোনার উপর তিন শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হতো। কিন্তু এখন তা হয় না।
কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী, এখন ওই ৩০ গ্রাম সোনার দাম বাবদ ক্রেতাকে নগদ পেমেন্ট করা হয় বা সেটাই গয়নার অগ্রিম বাবদ জমা নেওয়া হয়। এরপর ৫০ গ্রাম সোনার গয়নার উপর যখন কেউ পেমেন্ট করেন, তখন ৫০ গ্রামের উপরই তিন শতাংশ হারে দাম চোকাতে হয়। এতে ক্রেতাদের আর্থিক বোঝা বাড়ছে।