বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
জাপানের আয়োজক কমিটি ও আন্তর্জাতিক ওলিম্পিকস সংস্থার কর্তারা এক বৈঠকে মিলিত হয় এমনই সূচি নির্ধারণ করেছেন। তবে সরকারিভাবে তা এখনও ঘোষিত হয়নি। আন্তর্জাতিক ওলিম্পিকস সংস্থার প্রধান টমাস বাখ বলেছেন, ‘আমাদের সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হচ্ছে। এমনিতেই ২০২০ সালে গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাস আমাদের যাবতীয় পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। এই মেগা ইভেন্ট আয়োজন করার ব্যাপারে চার বছর আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি বিচারে গেমস স্থগিত করে দিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাদের। ইতিমধ্যেই ১২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে বসে রয়েছে আয়োজক কমিটি। এরমধ্যে বিভিন্ন স্পনসরদের বিনিয়োগকৃত অর্থ রয়েছে। এই বছর ওলিম্পিকস না হওয়ায় বেশ বড় অঙ্কের টাকা পুনরায় ফেরত পাবার সম্ভাবনা নেই। ফলে এই ক্ষতিপূরণ আগামীবার কীভাবে মেটানো হবে সেটাই এখন বড় চিন্তা।’
এদিকে ২০২১ সালে গ্রীষ্মে গেমস অনুষ্ঠিত করা ছাড়া কোনো গতি নেই আয়োজক কমিটির। কারণ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইভেন্ট ওই সময়ের আগে অথবা পরে রয়েছে। ওলিম্পিকস সুচির ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলি ২০২১ সালে কীভাবে আয়োজন করা হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে বিশ্ব ক্রীড়া সংস্থাগুলি।
আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস সংস্থার প্রধান সেবাস্তিয়ান কো এই ব্যাপারে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু ওলিম্পিকসের স্বার্থের কথা ভেবে আগামী বছর বিশ্ব অ্যাথলেটিকস গেমস পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া কোন গতি নেই আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস সংস্থার।
এখন প্রশ্ন, ২০২০ ওলিম্পিকসে যে সমস্ত অ্যাথলিট যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন তাঁরা কি সেই অনুযায়ী আগামী বছরের প্রতিযোগিতায় নামতে পারবেন? এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক ওলিম্পিকস সংস্থার প্রধান টমাস বাখ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এই বছরের যোগ্যতা অর্জনকারী অ্যাথলিটরা আগামী বছর সরাসরি ওলিম্পিকসে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র পাবেন। এই নিয়ে কোনও সংশয় নেই। বরং এই অ্যাথলিটরা ওলিম্পিকসে ভালো ফল করার জন্য আরও বেশি প্রস্তুতির সময় পাবেন। সেটা তাঁদের কাজে লাগাতে হবে।’
ওলিম্পিকস এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশের ওলিম্পিক সংস্থাগুলিকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। কারণ, তারাও এই বছরের প্রতিযোগিতায় অ্যাথলিট পাঠানোর জন্য পরিকাঠামো তৈরিতে বিরাট অর্থ বিনিয়োগ করেছে। গেমস পিছনোয় তাদের আবার অর্থ ঢালতে হবে। এমনিতেই করোনা ভাইরাস এর জন্য বিশ্বের অর্থনীতি গভীর সঙ্কটে। এই পরিস্থিতিতে নতুনভাবে বিনিয়োগ করা বেশ সমস্যার। তবে ভারত সরকার এখন ওলিম্পিকস নিয়ে কিছুই ভাবছে না। এই মুহূর্তে তাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ করোনার প্রকোপকে দূরে সরানো।