আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
২০১৭ সালে শান্তিপুরে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া শুরু হয়। সেসময় প্রায় ৬০০০ পরিবার উপকৃত হয়েছিল। গত সাড়ে ছয় বছরে ধাপে ধাপে আরও ২১ হাজার পরিবারকে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ক্ষমতা, ওভারহেড রিজার্ভার ও বুস্টিং পাম্পের সংখ্যা একই রয়ে গিয়েছে। ফলে বেশ কিছু ওয়ার্ডে দিনভর কল খুলে রাখলেও জল পড়ে না। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানকার বাসিন্দারা একবেলাও ঠিকঠাক জল পান না। মঙ্গলবার জলের কলের সামনে বালতি রেখে এলাকার মহিলারা বিক্ষোভ দেখান।
স্থানীয় বাসিন্দা নয়নতারা মজুমদার, বাসনা শীল, মান্তু দত্ত, সীমা দেবনাথ, গোপাল ভৌমিকদের অভিযোগ, বাড়িতে জলের সংযোগের জন্য পুরসভাকে প্রায় ১৬ হাজার টাকা দিতে হয়েছিল। আগে অন্তত একবেলা ঠিকঠাক জল মিলত। চার মাস ধরে সেটাও বন্ধ। পুরসভার দাবি, এই দুই ওয়ার্ডে জলের গতি বাড়াতে নতুন পাইপলাইন বসাতে হবে। যেহেতু ওয়ার্ড দু’টি রেললাইনের পাশে, তাই রেলের এনওসি না পাওয়া পর্যন্ত এই কাজ করা যাচ্ছে না।
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর এদিন পুরবোর্ড ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে জরুরি আলোচনায় বসেন চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, শান্তিপুরে জলের সমস্যা মেটানো হবে। একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পুরকর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে শহরে নতুন চারটি বুস্টিং পাম্প বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে। ওভারহেড রিজার্ভারের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ১০, ২২ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি নতুন বড় রিজার্ভার বসবে। পুরনো দু’টি রিজার্ভার সংস্কার করে ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হবে।
২১,২৫৪টি পরিবারে নতুন জলের সংযোগ দেওয়া হবে। এজন্য নতুন পাইপলাইন বসানো হবে। সবমিলিয়ে, ৭৫ কোটি ১৭ লক্ষ টাকার ডিপিআর রাজ্যকে পাঠিয়েছে পুরসভা।
আগামী দিনে ভাগীরথীর ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ক্ষমতা বাড়ানোর কথাও ভাবছে পুরসভা। এসব হয়ে গেলে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে জলের স্ট্যান্ড পোস্টের বদলে ওয়াটার এটিএম বসানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।