আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ভগবানগোলা থানার এক আধিকারিক বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
১২ বছর আগে সীমা বিবি ভালোবেসে কাজিপাড়ার আওয়াল শেখকে বিয়ে করেন। ওই দম্পতির দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, আওয়াল শেখ বিশেষ কাজকর্ম করত না। সারাদিন মদ ও জুয়ার আসরে পড়ে থাকত। এনিয়ে বিয়ের কয়েকমাস পর থেকে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। সীমাকে প্রায়ই মারধর করা হতো। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বেশ কয়েকবার তিনি ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন। প্রত্যেকবার আওয়াল স্ত্রীকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
মৃতার দিদি টগরি বিবি বলেন, কয়েক মাস আগে বোনকে ওর স্বামী চাপ দিয়ে কয়েকটি সংস্থা থেকে লক্ষাধিক টাকা ঋণ করতে বাধ্য করেছিল। সেই টাকা আওয়াল জুয়া ও মদের আসরে উড়িয়ে দেয়। নির্দিষ্ট তারিখে বোন ঋণের কিস্তি চাইলেই মারধর করত। বেশ কয়েকবার বোন আমার বাড়িতে এসে কিস্তির টাকা নিয়ে গিয়েছে। মৃতার মা রেহেনা বিবি বলেন, মঙ্গলবার কিস্তি মেটানোর কথা ছিল। এদিন সকালে কিস্তির টাকা চাইতেই আওয়াল আমার মেয়েকে মারধর করে। দুপুরে আবার মারধর করে। বেলা আড়াইটে নাগাদ পড়শিরা ওদের ঘরের দরজায় তালা ঝুলছে দেখে আমাদের খবর দেন। আওয়াল মেয়েকে খুন করে ঘর বন্ধ করে পালিয়েছে। ওর ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। গ্রামের বাসিন্দা মমতা বিবি বলেন, আওয়াল ঋণের টাকা নিয়ে উড়িয়েছে। অথচ কিস্তি দিত না। ওর বউ কিস্তির টাকা চাইলেই তাকে মারধর করত। পুলিস তদন্ত করে তাকে উপযুক্ত শাস্তি দিক।