জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
যে কোনও দিন ভোরে জিটি রোড দিয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার গোপালপুর থেকে জুবলি মোড়ে গেলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে রাতে শহরের বুকে ওভারলোডিংয়ের চিত্রটা। গোপালপুর থেকে পুলিস কমিশনারের অফিস হয়ে ভগৎ সিং মোড় পর্যন্ত রাস্তায় অনেকগুলি বাম্পার রয়েছে। সেখানে পড়ে রয়েছে বালি কয়লার টুকরো। এক শ্রেণির লোক তা কুড়িয়ে রাস্তা ঝেঁটিয়ে পরিস্কার করে দিচ্ছেন। যাতে ওভারলোডিং মাল পড়ে যাওয়ার চিহ্নটাও না থাকে। একই চিত্র রয়েছে সেনর্যালে রাস্তার উপর। ২ নম্বর জাতীয় সড়কে (অধুনা ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে) উঠলে তো ওভারলোডিং লরি, ডাম্পারের প্রতিযোগিতা দেখা যাবে। সেখানে দৈত্যাকার লরিগুলিতে কব্বর ঢাল দিয়ে চূড়াভর্তি বালি নিয়ে তা আবার ত্রিপল দিয়ে মুড়ে দেওয়া হচ্ছে। জল পড়তে পড়তে ছুটছে লরি। কয়লা পরিবহণ হচ্ছে আঢাকা ভাবেই। যার ফলে রাস্তায় ছিটকে পড়ছে কয়লার টুকরো।
বালি, কয়লার এই অবৈধ যাতায়াত মানুষের নজরে ছিলই। এখন পুলিসি অভিযানে সামনে এসেছে শুধু বালি বা কয়লা বোঝাই গাড়ি নয়, প্রায় সব ধরনের সামগ্রীই ওভারলোডিং হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া ট্রাফিক গার্ড চারটি ওভারলোডিং গাড়ি ধরেছে। তারমধ্যে দু’টি বীরভূম থেকে বাঁকুড়া অভিমুখে যাওয়া পাথর বোঝাই ডাম্পার। একটি আয়রন বার বোঝাই লরিও ছিল ওভারলোডিং। অন্য ওভারলোডিং গাড়িটিতে সিমেন্ট বোঝাই ছিল। শেষ দুই রাতে অণ্ডাল ট্রাফিক গার্ড ন’টি ওভারলোডিং লরি ধরেছে। সেখানে জামুড়িয়া, মঙ্গলপুর শিল্পতালুকের কারখানা থেকে লোড হওয়ার স্পঞ্জ আয়রনও রয়েছে। দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ড দু’দিনে পাঁচটি ওভারলোডিং গাড়ি ধরেছে।