জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
শুক্রবার খেজুরি থানার পক্ষ থেকে আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে যোগাযোগ করা হয়। জেলবন্দি সমরশঙ্করের বাবার মৃত্যুর সংবাদ পাঠানো হয়। এরপরই ছ’ঘণ্টার জন্য প্যারেলে ছাড়া পান ওই তৃণমূল নেতা। সন্ধ্যার পর খেজুরিতে ফিরে বাবার শেষকৃত্যে যোগ দেন। মৃত মলয়কুমার মণ্ডল বোধড়া পঞ্চেশ্বরী হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। ছেলে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে পুরোপুরি শয্যাশায়ী। মা রেখারানি মণ্ডল পূর্ব ভাঙনমারি প্রাইমারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। রেখারানিদেবী বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে ছেলের কোনও যোগ ছিল না। তারপরও এনআইএ তাকে গ্রেপ্তার করে। দু’বছরের বেশি সময় জেলবন্দি। বাড়িতে বউমা ও তিন নাতনিকে নিয়ে থাকি। স্বামীর জন্য ওষুধ আনা এবং হাটবাজার করতে খুব সমস্যা হতো। ছেলে জেলে থাকার কষ্ট নিয়ে স্বামী চলে গেল।
২০২২সালে ৪জানুয়ারি খেজুরি থানার পশ্চিম ভাঙনমারি গ্রামে বিস্ফোরণ হয়। তাতে অনুপ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী মারা যান। এক কর্মীর একটি হাত উড়ে যায়। এনআইএ ওই ঘটনার তদন্তভার পায়। ওই বছর ২৫জানুয়ারি কেন্দ্রীয় এজেন্সির পক্ষ থেকে মামলা রুজু হয়। ওই ঘটনায় তৎকালীন জনকা পঞ্চায়েত প্রধান সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা- কর্মীকে নোটিস দেওয়া হয়। নোটিস পেয়ে তাঁরা কলকাতার এনআইএ অফিসে যান। এনআইএ ওই ঘটনায় সমরশঙ্কর মণ্ডল ছাড়াও বিস্ফোরণে জখম হওয়া কঙ্করকরণ ও আরএক তৃণমূল কর্মী রতন প্রামাণিককে গ্রেপ্তার করে। প্রত্যেকে এখনও জেলবন্দি।
খেজুরি-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সমুদ্ভব দাস বলেন, সমরশঙ্কর বর্ধিষ্ণু পরিবারের সন্তান। বাবা হাইস্কুলের শিক্ষক ছিলেন। মা প্রাইমারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। তাঁদের একমাত্র সন্তান সমরশঙ্কর। কোনওদিন বোমা বন্দুকের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। অথচ, অন্যায়ভাবে তাঁকে পশ্চিম ভাঙনমারি বিস্ফোরণ কেসে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। তারপর থেকে জেলবন্দি। তাঁর জেলে চলে যাওয়ার পর গোটা পরিবার চূড়ান্ত সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়। বাবা-মা দু’জনেই অসুস্থ হন। শেষমেশ বাবার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার প্যারোলে ছ’ঘণ্টার জন্য ছাড়া পেয়ে নিজের বাড়িতে আসেন। খেজুরি থানার ওসি রাজু কুণ্ডু বলেন, জেলবন্দি সমরশঙ্কর মণ্ডল প্যারোলে ছাড়া পেয়ে এদিন তাঁর বাবার শেষকৃত্যে যোগ দেন।