জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে খাওয়ার পর ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন আমিনুল সাহেব। মৃতের দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রীর অভিযোগ, ঘুমন্ত অবস্থায় রোকন হাঁসুয়া দিয়ে পেটে, বুকে এলোপাথাড়ি কোপ মারে। খোকন ও তার এক মামা ঘরের বাইরে দাঁড়িয়েছিল। খুনের ব্যাপারে দু’জনের প্রত্যক্ষ মদত ছিল। বাধা দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁদের সামনে দিয়েই দুই ভাই বেরিয়ে যায়। আমিনুল সাহেবকে উদ্ধার করে স্থানীয় কানাপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী জামনা বিবি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মৃত্যু হলে ফের বিয়ে করেন আমিনুল সাহেব। দ্বিতীয় পক্ষের পাঁচ ও তিন বছরের দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। মৃতের ভাই মাজরুল ইসলাম বলেন, প্রথম পক্ষের দুই ছেলেকে জায়গা লিখে দিয়ে বাড়ি তৈরি করে দিয়েছিল দাদা। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকত। কিন্তু ১৩ শতক ওই বসত ভিটের উপর নজর ছিল প্রথম পক্ষের দুই ছেলের। ওই জায়গা লিখে দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার অশান্তি হয়েছিল। তবে তার পরিণাম যে এত ভয়ঙ্কর হবে, তা ভাবতেও পারিনি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় দয়ানগরে একটি ছোট কাপড়ের দোকান চালাতেন আমিনুল ইসলাম। ওই দোকানের আয় থেকেই সংসার চলত। বেশ কিছুদিন থেকে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মৃতের দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী বলেন, বাড়ির জায়গা লিখে দেওয়ার জন্য বহু দিন থেকে দুই ছেলে চাপ দিচ্ছিল। বহুবার প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে। তবে সত্যিই যে খুন করে দেবে, তা আমরা কেউ ভাবিনি। আমার স্বামী শেষ সম্বলটুকু হাতছাড়া করতে চায়নি। এখন আমি নিজে ও ছেলেদের প্রাণনাশের আশঙ্কায় ভুগছি। অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।