অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, আমরা সরকারিভাবে যেমন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ব্যবস্থা করেছি, তেমনই কেউ চাইলে হোটেলেও থাকতে পারেন। তার ব্যবস্থা আছে। সরকারি কোয়ারেন্টাইনের কয়েকটি জায়গায় বিনোদনের জন্য লুডো, তাস খেলারও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো বাসিন্দাদের হাতে কালি লাগানোও হচ্ছে, যাতে সহজেই চিহ্নিত করা যায়।
মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও দিল্লি এই পাঁচটি রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিক অথবা বাসিন্দারা এলে তাঁদের ইন্সটিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে রাখা বাধ্যতামূলক। এর পাশাপাশি অন্য যে রাজ্য থেকেই আসুক, তাঁদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তাই ওই পাঁচ রাজ্যের বাসিন্দাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখতে গিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয়েছিল প্রশাসনকে। কারণ সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী বাড়ির কাছেই তাঁদের কোয়ারেন্টাইন করে রাখতে হবে। যাতে পরিবারের লোকজন চাইলে খাবার দিতে পারেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই স্থানীয় লোকজন বাধা দেন। তা সত্ত্বেও ১১৫টি সেন্টার করতে সমর্থ হয়েছে প্রশাসন। তবে ভিন রাজ্য থেকে এমন বহু মানুষ আসবেন, যাঁরা বাড়তি সুবিধা নিতে চাইবেন, সেজন্যও ব্যবস্থা রাখছে প্রশাসন। দুর্গাপুর ও আসানসোলে মোট আটটি হোটেল নিয়েছে প্রশাসন। সেখানে চার স্তরের রুম আছে। ৫০০, ৭৫০, ১ হাজার ও ৫ হাজার টাকার রুমেও ইচ্ছা করলে থাকতে পারবেন। তবে, সোমবার নতুন বিধি এসেছে কোয়ারেন্টাইনে রাখার। এবার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন হবে সাত দিন। তারপর স্ক্রিনিং টেস্ট করা হবে। যদি সেই বাসিন্দার কোনও উপসর্গ না থাকে, তাহলে তিনি বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইন হয়ে বাকি সাতদিন থাকতে পারবেন। তবে এই স্ক্রিনিংকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে করাতে চায় প্রশাসন। যাতে কোনও উপসর্গযুক্ত ব্যক্তি বাড়ি না চলে যান। ডেপুটি সিএমওএইচ কেকা মুখোপাধ্যায় বলেন, এখন সাতদিন কোয়ারেন্টাইনে রেখে স্ক্রিনিং টেস্ট করতে হবে।
তবে এবার আঙুলে কালির ছাপেই সহজে চেনা যাবে, কে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন, কে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে আসা মানুষদের প্রত্যেকের হাতেই কালির দাগ দেওয়া হবে। যাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া রয়েছে, ডান হাতের বুড়ো আঙুলে লম্বা কালির দাগ থাকবে। যাঁরা উপদ্রুত পাঁচ রাজ্য থেকে ফিরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন, তাঁদের ডান হাতের কড়ে আঙুলে লম্বা দাগ দেওয়া হচ্ছে। অন্য জায়গা থেকে এসেও যাঁরা ইন্সটিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন, তাঁদের ডান হাতের অনামিকায় দাগ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের মতে, যদি কেউ আইনভঙ্গ করেন, তাহলে আঙুলের দাগ দেখে প্রশাসন তাঁদের চিহ্নিত করবে। এদিন ডুবুরডিহি চেকপোস্টে আঙুলে কালি দেওয়ার কাজ হয়েছে।