অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
ডিসি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের এসটিএফের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া অস্ত্র কারবারিরা দেন্দুয়াতে জমি কিনেছিল বলেও আটক হওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছে। আমরা বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখছি।
কুলটি থানার নিয়ামতপুরে গজিয়ে ওঠা অবৈধ অস্ত্র কারখানা নিয়ে পুলিসি তদন্তে নতুন মোড় নিল। এসটিএফ স্থানীয় পুলিসের সহযোগিতায় কয়েকদিন আগেই নিয়ামতপুরে এই বিশাল অবৈধ অস্ত্র কারখানার হদিশ পায়। প্রায় ৩৫০টি অসম্পূর্ণ ৭ এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়। ঝাড়খণ্ডের পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তারও করা হয়। কিন্তু প্রথম থেকেই পুলিসের সন্দেহ ছিল স্থানীয় কারও সাহায্য ছাড়া এই কারখানা গড়ে তোলা অসম্ভব। তখনই উঠেছিল এলাকার প্রভাবশালী তত্ত্ব। এরপর জোরকদমে পুলিস তদন্তে নামে। সেই সময়েই উঠে এসেছিল কুলটি থানার শিমূলগ্রামের হায়দার খান ও ওই গ্রামেরই সাহাদাৎ কাঁদেরির নাম। যে বাড়িটিতে অস্ত্র কারখানা গড়ার জন্য ভাড়া নেওয়া হয়েছিল, তারাই সেই বাড়ির মালিকের সঙ্গে ভিন রাজ্যের অস্ত্রকারবারিদের পরিচয় করিয়ে দেয় বলে পুলিস জানতে পারে। পুলিসের দাবি, আটক হওয়ার পর ঘটনার কথা স্বীকার করেছে তারা। শুধু পরিচয় করিয়ে দেওয়াই নয়, ওই এলাকার উপর নজর রাখার দায়িত্বও ছিল ওদের উপর। রীতিমতো অস্ত্রকারবারিদের রক্ষাকবচের ভূমিকা দিয়েছিল তারা। যেহেতু হায়দার স্থানীয় কাউন্সিলার তথা অনগ্রসর বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য মীর হাসিমের বড় দাদার শ্যালক, তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রভাবশালীর তকমা রয়েছে।
যদিও মীর হাসিম বলেন, হায়দার আমার দাদার শ্যালক হলেও তার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ ছিল না। আইন আইনের পথে চলবে। অপরাধ করলে অবশ্যই সে শাস্তি পাবে।
এদিকে আটক দুজন পুলিসকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এই বাড়িটি ঠিক করে দেওয়ার পাশাপাশি সালানপুর থানার দেন্দুয়ায় এক বছর ধরে একাধিক প্লট কিনেছিল অস্ত্র কারবারিরা। এরকম চারটি প্লটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এতেও কুলটির দুই দুষ্কৃতী যুক্ত ছিল। অন্যদিকে, নিয়ামতপুরে অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়ার ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবারই কুলটি থানায় ডেপুটেশন দেয় বিজেপি। বহু কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতিতে জেলা সম্পাদক কেশব পোদ্দার, টিঙ্কু ভর্মা সহ জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এই কর্মসূচি হয়।