অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
জানা গিয়েছে, শিথিলতা নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্রের দিনক্ষণও আলাদা রয়েছে। ফলে কোন পথে তাঁরা হাটবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। আবার মন্দির খুললে সেখানে থাকা আবাসিকদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। মন্দির চত্বরও অনেক বড়। সেখানে মেন গেট থেকে পুজো দেখতে যাওয়ার জায়গায় অনেকটাই সময় লেগে যাবে। মাত্র ১০ জন করে ঢুকলে পুজো দেখা থেকে অনেকেই বঞ্চিত হতে পারেন। এসব নিয়ে কিছুটা জটিলতা থাকায় সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
মায়াপুর ইসকনে প্রতিদিন ভোর চারটেয় মঙ্গল আরতি, সাতটায় দর্শন আরতি, ভাগবত পাঠ হয়। বিকেলে ধূপ আরতি, সন্ধ্যা আরতি, শয়ন আরতি হয়। ভক্তরা গোটা মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন। প্রতিদিন দেশ-বিদেশের কয়েক হাজার মানুষের ভিড় হয়। সেই চিত্র করোনার পর বদলে গিয়েছে। করোনা প্রকোপের প্রথম দিকে পর্যটকদের জন্য পুরোপুরি বন্ধ না হলেও মায়াপুর ইসকনে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। নিয়ম হয়, সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত অন্যদিকে, বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত মূল মন্দিরে যাওয়া যাবে। অন্য কোনও সময় কেউ এলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মন্দির চত্বরে ঘোরাঘুরির উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। কোনও জায়গায় জমায়েত করার উপরও জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। হাত, পা ভালো করে ধুয়ে তবেই মন্দিরে ঢোকার অনুমতি মেলে। জানা গিয়েছে, এরকম নিয়মকানুন হয়তো আবার ফিরিয়ে এনে মন্দির চালু করা হতে পারে। ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, এখনও পর্যন্ত মন্দির ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি। তবে আমাদের এবিষয়ে আলোচনা চলছে। পরিস্থিতির উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। সময় হলে আমরা সব জানিয়েও দেব।
মায়াপুর ইসকনের রথযাত্রা সাম্প্রতিক সময়ে নজর কেড়েছে। রথের দিন শোভাযাত্রা সহ তিনটি রথ পৌঁছত মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরে। তা দেখতে বহু বিশিষ্ট মানুষজনও ভিড় করেন। রথযাত্রা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও অন্যান্যবারের মতো যে তা পালন হবে না তা একপ্রকার নিশ্চিত।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নদীয়া জেলায় চারজন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জন হাঁসখালি ব্লকের বাসিন্দা, বাকি দু’জন কৃষ্ণনগর ১ এবং ২ ব্লকের বাসিন্দা। মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ জন। যদিও রাজ্যের তরফে সোমবার বিকেলে প্রকাশিত বুলেটিনে নদীয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯২ রয়েছে। ফলে এনিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে কৃষ্ণনগরের দিগনগরের বাসিন্দা এক যুবকের সোমবার মৃত্যু হয়েছে। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে অনেক চেষ্টা করেও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। স্বাস্থ্য দপ্তরের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও নিরুত্তর থেকেছেন জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা।