অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
বোলপুর শহরের যে প্রধান সমস্যাগুলি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম যানজট। শহরের প্রধান রাস্তাগুলি সংকীর্ণ হওয়ায় সেই সমস্যা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। তার উপর বোলপুরের পাশেই রয়েছে ভারতবর্ষের মানচিত্রের অন্যতম পর্যটন স্থল শান্তিনিকেতন। যার টানে প্রচুর মানুষ বোলপুরে এসে থাকেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে বাইরে থেকে পর্যটকরা আসতে পারছেন না। কিন্তু বোলপুর, শান্তিনিকেতন ও এই দুই এলাকাকে কেন্দ্র করে জীবন-জীবিকা চালিয়ে যাওয়া প্রচুর মানুষ প্রতিদিন এই শহরে এসে পৌঁছন। যার জন্য স্টেশন থেকে শান্তিনিকেতন যাওয়ার রাস্তা, শ্রীনিকেতন যাওয়ার রাস্তা সহ অন্যান্য প্রায় সমস্ত রাস্তাঘাট মানুষের যাতায়াতের চাপে যানজটের কবলে পড়ে। পাশাপাশি বিভিন্ন রাস্তার ধারে বসতবাড়ি, দোকানঘর, মার্কেট কমপ্লেক্স বা শপিংমল নির্মাণের কাজ চলছে। অধিকাংশ জায়গাতেই দেখা যায়, মূল রাস্তার পাশে যে সমস্ত নির্মাণকাজ চলছে তার ইমারতি দ্রব্য যত্রতত্র পড়ে রয়েছে। অনেক সময়ই তা রাস্তা দখল করেই পড়ে থাকে। তার ফলে একদিকে দুর্ঘটনা ঘটছে, অপরদিকে যানজট হয়ে ভোগান্তি বাড়ছে। তাই বোলপুর পুরসভার পক্ষ থেকে এদিন রাস্তার উপর পড়ে থাকা ইমারতি দ্রব্য সরিয়ে ফেলার জন্য মাইকিং করা হল। আগামী দু’দিন একইভাবে শহরের প্রায় প্রত্যেক এলাকায় গিয়ে এই নির্দেশিকা জানানো হবে। তার মধ্যেই নির্মাণকারীরা ইমারতি দ্রব্য সরিয়ে না নিলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বোলপুর পুরসভার প্রশাসকরা। তৃণমূল পরিচালিত বোলপুর পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিদায়ী চেয়ারম্যানকে চেয়ারপার্সন নিয়োগ করে ৪ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারদের নিয়ে তিন সদস্যের প্রশাসক বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসকরা পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শহরের প্রধান সমস্যাগুলি শীঘ্রই সমাধান করার। সেইমতো রাস্তা দখলমুক্ত করতে এদিন মাইকিং করা হয়।
বোলপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সুকান্ত হাজরা ও ওমর শেখ বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে আটকে রাখার চ্যালেঞ্জ আমাদের আগে থেকেই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও প্রচুর মানুষ রাস্তায় বেরচ্ছেন। ইমারতি দ্রব্য রাস্তার উপর পড়ে থাকলে মানুষের সমস্যা হচ্ছে।