বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এদিন বেলা ১২টা নাগাদ দিলীপবাবুর পাশাপাশি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু এবং রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায় প্রমুখ চণ্ডীপুরে আসেন। সেখানে বিভিন্ন এলাকার কর্মী-সমর্থকরা কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে পুলিসি হেনস্তার নালিশ জানান দিলীপবাবুর কাছে। এরপর রাজ্য বিজেপি সভাপতি সহ অন্যান্যরা গাড়িতে চড়ে নন্দীগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ বিজেপি নেতৃত্ব রেয়াপাড়ায় পুলিসের বাধার মুখে পড়ে। হুডখোলা জিপে তখন রাজ্য বিজেপির তিন শীর্ষ নেতা ছিলেন। পিছনে কয়েক হাজার দলীয় কর্মীর মিছিল। এরপরই টেঙ্গুয়া যাওয়ার পথে বাধা পেয়ে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান বিজেপি কর্মীরা। তারপরই পুলিস লাঠিচার্জ শুরু করে বলে অভিযোগ। সেই সময় বিজেপির জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েকও নিগৃহীত হন। হুডখোলা জিপে তখন দাঁড়িয়ে গোটা ঘটনা প্রত্যক্ষ করছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি স্বয়ং।
সিএএর সমর্থনে এদিন অভিনন্দন যাত্রার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। এছাড়া দিলীপবাবু দ্বিতীয়বার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফর ছিল। এদিনের কর্মসূচির জন্য পুলিস অনুমতি দেয়নি। তা সত্ত্বেও নিজেদের অভিনন্দন যাত্রা সফল করার জন্য কোনওরকম ত্রুটি রাখেনি বিজেপি। এদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত হলদিয়া-নন্দীগ্রাম ফেরিসার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হলদিয়ার দিক থেকে যাতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা হলদি নদী পেরিয়ে নন্দীগ্রামে কর্মসূচিতে যোগ দিতে না পারেন সেজন্য ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলে বিজেপির অভিযোগ। হলদিয়ায় ফেরিঘাটের সাধারণ যাত্রীরা এনিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কমলকান্ত হালদার নামে এক স্কুলশিক্ষক বলেন, বিদ্যাপীঠে আমার শ্বশুরবাড়ি। শ্বশুর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ছুটি নিয়ে এদিন শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলাম। এখানে এসে দেখি, ফেরি সার্ভিস বন্ধ। গৌরহরি মাইতি নামে ফেরি সার্ভিসের এক কর্মী বলেন, নন্দীগ্রাম থেকে এদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত খেয়া পারাপার বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২৮ডিসেম্বর টেঙ্গুয়াতেই সিএএ এবং এসআরসির বিরুদ্ধে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেই টেঙ্গুয়াকে এদিন অভিনন্দন যাত্রার সূচনাস্থল হিসেবে বেছে নিয়েছিল বিজেপি। জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘরে নিজেদের শক্তিপ্রদর্শন করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল। পুলিসও পাল্টা প্রস্তুতি নিয়েছিল। হাঁসচড়া থেকে খানিকটা দূরে সকাল থেকে ব্যারিকেড করে রেখেছিল পুলিস। কিন্তু, বেলার দিকে সেই ব্যারিকেড তুলে সমস্ত বাহিনীকে শুধুমাত্র রেয়াপাড়ায় জড়ো করা হয়। সকালের দিকে কিছু কর্মী-সমর্থক টেঙ্গুয়ায় জড়ো হলে সেখানে পুলিস বাধা দেয়। দু’পক্ষের সঙ্গে টানাহেঁচড়া চলে।
এদিন নন্দীগ্রামের পর পাঁশকুড়ায় হরিদাসপুরে কর্মসূচি ছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতির। ওই কর্মসূচিতে যাওয়ার বিভিন্ন রুটে মোতায়েন ছিল পুলিস। এই অবস্থায় ৪১নম্বর জাতীয় সড়কে রামতারক এলাকা দিয়ে গ্রামীণ রাস্তা ধরে পাঁশকুড়ায় কর্মসূচিতে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ।