জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অটোর ধাক্কায় এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর মৃত্যু হয়। বুধবার একই জায়গায় এক টোটো চালককে ধাক্কা মারে একটি ছোট গাড়ি। সম্প্রতি রাজ্য সড়কটি সংস্কার করেছে পূর্তদপ্তর। নতুন রাস্তায় অটো ও ছোট গাড়ির চালকদের বেপরোয়া গতির বলি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। একই সঙ্গে নেই ট্রাফিক পুলিসের নজরদারিও।
প্রসঙ্গত, মাথাভাঙা-১ ব্লকের পচাগড় ও জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েত হয়ে শীতলকুচি ব্লকে ঢুকেছে রাজ্য সড়কটি। দুর্ঘটনা শুধু মাথাভাঙা এলাকায় নয়, শীতলকুচি ব্লকের গোঁসাইরহাটেও পরপর বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা হয়েছে। সম্প্রতি গোঁসাইরহাটের সাঙারবাড়ি মোড়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় একজনের। স্থানীয়রা জানান, ব্যস্ততম রাজ্য সড়কটি চওড়া করার পরিকল্পনা নিয়েছিল পূর্তদপ্তর। কিন্তু রাস্তার ধারের গাছ কাটতে বাধা দেয় কয়েকটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠন। ফলে রাস্তাটি আর চওড়া হয়নি।
পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কল্যাণী রায় বলেন, মাথাভাঙা-শীতলকুচি রাজ্য সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। গত দু’দিনে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রাফিক পুলিসের নজরদারি না থাকায় বেপরোয়া গতিতে চলে অটো ও ছোটগাড়ি। এই রুটে প্রায় পাঁচশো অটো চলাচল করে। অটো চালকরা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে এমন হচ্ছে। অনেকবার পুলিস প্রশানকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
মাথাভাঙা থানার ট্রাফিক ওসি শ্যামল সাহা বলেন, শীতলকুচি রোডে গত দু’দিন দু’টি বড় দুর্ঘটনা হয়েছে। দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মধ্য বাইশগুড়ির যে জায়গায় দুর্ঘটনা হয়েছে ওখানে গার্ড রেল বসানো ছিল। সেগুলি চুরি হয়ে গিয়েছে। বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে নজরদারি চালানো হচ্ছে। অটো চালকদের সর্তক করা হবে।