জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
দীর্ঘদিন ধরে আলিপুরদুয়ার জেলা সদরের বিভিন্ন রাস্তার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চলছিল। ফুটপাত অবরুদ্ধ থাকায় পথচারীরা সমস্যায় পড়ছিলেন। ছোটবড় সব রাস্তায় ফুটপাতে বাঁশ, কাঠের খুঁটি পুঁতে পলিথিন টাঙিয়ে রমরম করে ব্যবসা চলছিল। ফুটপাত দখল করে বিরিয়ানি, লটারি, ফল, পান ও চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা হয়ে আসছিল।
বুধবার দুপুর থেকেই প্রশাসন ফুটপাতে গজিয়ে ওঠা দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেওয়া শুরু করে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই অভিযান। শহরের লাইফ লাইন বক্সা ফিডার রোডের দমকল মোড়, কোর্ট মোড় ও কলেজ হল্ট এলাকায় ফুটপাতজুড়ে থাকা একের পর এক দোকান ভেঙে দেওয়া হয়।
শহরের পার্ক রোডে একের পর এক ফাস্টফুডের দোকানও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। রাস্তা দখল করে পার্ক রোডে অনেকদিন ধরেই সারি সারি ফাস্টফুডের দোকানের কারণে পুরসভার রবীন্দ্র শিশু উদ্যানে ঢোকার রাস্তা সঙ্কুচিত হয়ে গিয়েছিল। প্রশাসন এই বেআইনি দখলদারি হটিয়ে দেওয়ায় পার্ক রোড এখন প্রশস্ত হয়ে গিয়েছে। পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রভাত সঙ্ঘ মোড়ে একটি হাইড্র্যান্টের উপরে সদ্য বানানো কংক্রিটের কাঠামোও অর্থমুভার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রশাসনের কাছে খবর ছিল, হাইড্র্যান্ট দখল করে এক ব্যক্তি বহুতল তৈরি করে দোকান ভাড়া দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। প্রশাসন জানিয়েছে, কোথাও কোনও বেআইনি নির্মাণ মানা হবে না। যেসব ব্যবসায়ী ফুটপাতে দোকানের সামগ্রী সাজিয়ে রাখছেন তাঁদেরও এদিন সতর্ক করা হয়।
ফুটপাত দখলমুক্ত করার পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে শহরজুড়ে মাইকিং করে বেআইনি দখলদারির বিরুদ্ধে কড়া সতর্ক বার্তাও দেওয়া হয় এদিন। ফের ফুটপাত দখল করে দোকানপাট করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার বলেন, শহরে ফুটপাত দখলমুক্ত অভিযান লাগাতার চলবে। ফুটপাতের পাশাপাশি এবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় ড্রেনের উপর গজিয়ে উঠা নির্মাণও ভেঙে ফেলা হবে। তার তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে।
অভিযানে মহকুমা শাসক ছাড়াও আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর, আলিপুরদুয়ারের এসডিপিও শ্রীনিবাসন এমপি, আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনির্বাণ ভট্টাচার্য ছিলেন। তবে মাইকিংয়ের ফেলে অনেকেই প্রশাসনের অভিযানের আগে ফুটপাত থেকে দোকানপাট সরিয়ে নেন। নিজস্ব চিত্র