আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
কিন্তু ম্যালেরিয়া তো ম্যালেরিয়াই। সেখানে ফরেস্ট ম্যালেরিয়া নাম কেন? জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, আক্রান্তরা যে ব্লকের সেই ব্লকগুলিতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল আছে। আক্রান্তরা সকলেই জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম ও বনবস্তির। জঙ্গল থেকেই ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফিলিস কিউলেক্স মশা ছড়াচ্ছে জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম ও বনবস্তিতে।
উদাহরণ হিসেবে জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ্ত চৌধুরী বলেন, আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের লোকনাথপুর ও কালচিনি ব্লকের পানবাড়ি গ্রাম দু’টি একেবারে জঙ্গলের পাশেই। আমরা দেখেছি ওই জঙ্গলে অ্যানোফিলিস মশার প্রজনন হচ্ছে। সেই মশাই ছড়িয়ে পড়ছে লাগোয়া গ্রাম ও বনবস্তিগুলিতে। ওই মশার কামড়েই ম্যালেরিয়ায় ছড়াচ্ছে জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম ও বনবস্তিতে। পানবাড়ি ও লোকনাথপুরেও ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রয়েছে। জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আরও বলেন, সেই জন্যই স্থানীয়ভাবে একে ফরেস্ট ম্যালেরিয়াও বলা হয়। শহরাঞ্চলে এই ম্যালেরিয়ার কোনও প্রকোপ নেই। কিন্তু এই ম্যালেরিয়া দমনে তো আর জঙ্গল সাফ করা যায় না। তাই জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলিতে স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে মশারি বিলি করা হচ্ছে। সচেতন করা হচ্ছে লোকজনকেও। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকেও সচেতন করা হচ্ছে। জেলাজুড়ে জ্বর নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা চলছে। নিয়মিতভাবে জ্বরে আক্রান্তদের রক্ত পরীক্ষার কাজও চলছে। আর সেই পরীক্ষাতেই জঙ্গল অধ্যুষিত ব্লকগুলিতে জ্বরে আক্রান্তদের ম্যালেরিয়া ধরা পড়ছে। ডেঙ্গুর থেকেও স্বাস্থ্যদপ্তর এখন তাই বেশি করে চিন্তিত ম্যালেরিয়া নিয়ে। কারণ ম্যালেরিয়া থামার কোনও লক্ষণ নেই।