যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
বৃহস্পতিবার পুলিস লাইনের কনফারেন্স হলে এই বিশেষ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিসের উত্তরবঙ্গের আইজি রাজেশকুমার যাদব, ডিআইজি (জলপাইগুড়ি রেঞ্জ) সন্তোষ নিম্বালকর, জেলা জজ সুব্রতচন্দ্র পোল্লে, জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা, পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য সহ অন্য আধিকারিকরা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম অবস্থায় কোচবিহার শহরের ৩০ জন প্রবীণ নাগরিককে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এদিনের অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে জরুরি ফোন নম্বর সম্বলিত একটি কার্ড ও কিছু ফল তুলে দেওয়া হয়। একজন নোডাল অফিসার নিয়মিত তাঁদের খোঁজখবর রাখবেন। আইজি বলেন, একা থাকা প্রবীণ নাগরিকরা নানা সমস্যায় থাকেন। তাঁদের চিকিৎসা, নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা যায়। এখন থেকে পুলিস নিয়মিত তাঁদের খোঁজখবর রাখবে। দুই-তিন মাস পর পর তাঁদের একসঙ্গে নিয়ে পিকনিক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মতো আয়োজন করা হবে। যাতে বয়স্কদের মন ভালো থাকে।
এসপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, প্রথম অবস্থায় আমরা কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত কোচবিহার শহরে এই প্রকল্প চালু করছি। ধীরে ধীরে জেলার সব জায়গাতেই হবে। একা থাকা প্রবীণদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে তাঁদের খোঁজ নেব আমরা।
শহরের বাসিন্দা ছায়া সরকার বলেন, আমার ছেলে বাইরে চাকরি করে। বাড়িতে আমি একাই থাকি। পুলিসের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আরএক বাসিন্দা অরুণলাল সরকার বলেন, খুবই ভালো উদ্যোগ। এই কর্মসূচি যেন মাঝপথে বন্ধ হয়ে না যায়।
প্রসঙ্গত, কলকাতা, শিলিগুড়ির মতো কোচবিহার শহরের বাড়িগুলিতে একা থাকা বয়স্ক নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে। কর্মসংস্থানের তাগিদে ছেলেমেয়েরা বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাড়িতে একা রেখেই কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে তাঁদের ঠিকমতো খোঁজখবর রাখতে পারেন না সন্তানরা। ফলে আপৎকালীন অবস্থায় বাড়িতে লোক না থাকায় ফাঁকা বাড়ি বা ফ্ল্যাট থেকে একা থাকা বয়স্ক নাগরিকদের দেহ উদ্ধারের ঘটনা বাড়ছে কোচবিহারেও।