যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
রাজ্য সরকার মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর ঘটনা কমানোর জন্য বিশেষ কিছু কর্মসূচি নিয়েছে। সেই মতো বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামো উন্নত করে সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। সেই জায়গায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যু অস্বস্তি বাড়িয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরের। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসার মান নিয়ে।
হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার (মেডিক্যাল) নন্দনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করেছেন, ১৫ দিনে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনক। তবে এক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতি নেই বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, যে ১০ জন প্রসূতি মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ইসলামপুর থেকে দু’জন, জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দু’জন এবং ফাঁসিদেওয়া, মাটিগাড়া ও শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে একজন করে প্রসূতি রেফার হয়ে এসেছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই সঙ্কটজনক অবস্থায় মেডিক্যালে আসেন। এঁদের কারও কিডনির, কারও হার্টের সমস্যা ছাড়াও অন্যান্য জটিলতা ছিল। তাই তাঁদের প্রয়োজনীয় সবরকম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পরও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ফেসিলিটি নোডাল অফিসার ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, আমরা চাই না একটিও মৃত্যুর ঘটনা ঘটুক। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, রেফার হয়ে আসা প্রসূতিরা সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় এসেছিলেন। চেষ্টা করেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
তবে প্রসূতিদের প্রথম থেকেই চিকিৎসার ক্ষেত্রে ত্রুটির দিক উঠে এসেছে ১৫ দিনে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যুতে। এনিয়ে ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, তৃণমূলস্তরে প্রথম অবস্থাতেই প্রসূতিদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারও কিডনির অসুখ, লিভারের সমস্যা রয়েছে কি না বা অন্য কোনও জটিল পুরনো রোগে আক্রান্ত কি না প্রসূতির সেটা প্রথমেই নির্ণয় করা প্রয়োজন। রোগ নির্ণয়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চিকিৎসা শুরু করতে হবে। গত ১৫ দিনে যে ১০ জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের এ ধরনের জটিল শারীরিক সমস্যা ছিল বলে রিপোর্ট রয়েছে। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁদের আমরা শেষ মুহূর্তে পেয়েছিলাম। এই পরিস্থিতিতে করার কিছু থাকে না। দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত প্রসূতিরা প্রথম থেকেই ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এ ব্যাপারে বিভিন্নস্তরে সচেতনতা প্রয়োজন। গোটা বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। গ্রামীণ তথা তৃণমূলস্তরে যাতে প্রসূতিদের এই দিকগুলির উপর নজর দেওয়া হয়, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ওয়াকিবহাল করা হবে।