নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ব্যক্তির নাম সিরাজুল হক। বাইসনের হামালায় বেশ কয়েকটি গবাদি পশুও এদিন আহত হয়। এদিকে বনদপ্তরের কাছে বাইসন গ্রামে আসার খবর পৌঁছলে বনকর্মীরা চলে আসেন। জলদাপাড়া ও বক্সা টাইগার রিজার্ভ থেকে ঘুমপাড়ানি গুলি করার জন্য বিশেষ দলকে ডেকে পাঠানো হয়। বনদপ্তর জানিয়েছে, টাকাগছ, টাপুরহাট ও শুটকাবাড়ি এলাকায় বাইসনগুলিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে বাগে আনা হয়। পরে তাদের চিলাপাতার জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বাইসনগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বনদপ্তর জানিয়েছে।
টাকাগছের বাসিন্দা জামিলা বিবি বলেন, আমি দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়েছিলাম। সেই সময়ে হঠাৎ করে বাইসন এসে ঘরের টিনের বেড়ায় গুঁতো দেয়। আমি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে চৌকির নীচে ঢুকে পড়ি। কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে পাশের বাড়িতে পালিয়ে যাই। টাকাগছের মকবুল হক বলেন, সকালে বাবা বাঁধের উপর দিয়ে আসছিলেন। সেই সময় একটি বাইসন বাবাকে আক্রমণ করে। বাবার বুকে আঘাত লেগেছে। বাবা কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কোচবিহার শহরের গা ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে তোর্সা নদী। তার একদিকে রয়েছে পাতলাখাওয়া ফরেস্ট। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনটি বাইসন লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। গ্রামে বাইসন ঢুকেছে খবর পেয়ে প্রচুর মানুষ ওই সব এলাকায় ভিড় জমালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বনদপ্তর ও পুলিসের পক্ষ থেকে ভিড় সামলানোর চেষ্টা করা হয়। যেকোনও সময়ে বাইসনগুলি যে কাউকে আক্রমণ করতে পারে এই আশঙ্কায় তাঁরা বারবার বাসিন্দাদের সাবধান করতে থাকেন। কিন্তু তারপরেও গ্রামবাসীরা বাইসনের সামনে চলে যাচ্ছিলেন। টাকাগছে একটি বাইসনকে গুলি করার জন্য বনকর্মীরা গাছ বেয়ে একটি বাড়ির ছাদে উঠে পড়েন। ওই বাড়ির পিছনের অংশে একটি গোয়াল ঘরের পাশে থাকা বাইসনকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোঁড়া হলে সেটি তেড়ে আসে। পরে অবশ্য সেটি বাড়ির পিছনের অংশের মাঠে নেমে যায়। এরপর কিছুটা দূরে গিয়ে সেটি সংজ্ঞা হারায়। একইভাবে অন্য দু’টিকেও ঘুমপাড়নি গুলি করে কাবু করা হয়। তিনটি বাইসনকে পুরোপুরি বাগে আনতে সকাল ১১টা বেজে যায়।
কোচবিহারের ডিএফও সঞ্জিত সাহা বলেন, তোর্সা নদী পেরিয়ে তিনটি বাইসন টাকাগছ ও টাপুরহাটে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল। আমরা তিনটিকেই ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করি। তিনটি বাইসনকেই চিলাপাতার জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে। ফের জঙ্গলেই ছেড়ে দেওয়া হবে। এই ঘটনায় কয়েকটি গবাদিপশু আহত হয়েছে। কয়েকটি ঘরও ভেঙেছে।