অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, প্রথমত, ১০০ দিনের জবকার্ড থাকা সত্ত্বেও কাজ পাওয়া যাচ্ছে না। সেইসঙ্গে ওই সদস্য ১০০ দিনের কাজের টাকা তছরুপ করেছেন বলেও অভিযোগ। এর প্রতিবাদে প্রথমে পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের মণীন্দ্রনাথ রায়ের বাড়ির সামনে ও পরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। এই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মণীন্দ্রনাথ রায় কাজ দিলেও প্রাপ্য মজুরি থেকে ভাগ বসাচ্ছেন। সেই পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে গ্রামবাসীরা এব্যাপারে কিছু বলতে গেলেই তাঁদের ভয় দেখানো হয়। এদিকে ওই পঞ্চায়েত সদস্য আন্দোলনের কথা আগাম জেনে যাওয়ায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে গা ঢাকা দেন। এদিকে পথ অবরোধের খবর যায় পুলিসের কাছে। পরে ঘটনাস্থলে ইটাহার থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রায় ঘন্টাখানেক অবরোধ চলার পর জাতীয় সড়ক থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য মনীন্দ্রনাথবাবু বলেন, এই ঘটনা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাকে বদনাম করার জন্যই এমন ঘটানো হয়েছে। এসব অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। যদি এর বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়, তাহলে আমি খুশি হব। কোনওভাবেই আমি কারও টাকা তুলে নিইনি।
এলাকাবাসী শেখর নিয়োগী বলেন, আমাদের জব কার্ড থাকা সত্ত্বেও কাজ দেন না স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। ওই পঞ্চায়েত সদস্য আমাদের নামে টাকা তুলে নেন। ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকি দেওয়া হয়। আমরা ওই সদস্যের শাস্তি চাইছি।
আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা বীণা দাস বলেন, নিজের ঘনিষ্ঠ লোকজনকে কাজ দেন ওই সদস্য। তাই তাঁকে শাস্তি দেওয়ার দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সাধারণ মানুষের অনেক টাকা নয়ছয় করেছেন। অবিলম্বে প্রশাসন পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
এদিন পুলিস আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দেওয়ার পর পথ অবোরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। তিনদিনের মধ্যে প্রশাসনের কাছ থেকে অভিযোগের ব্যাপারে কোনও সদুত্তর না পেলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।