মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
মালদহ জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থ সাহা বলেন, মালদহে প্রায় ৪৯ লক্ষ রেশন গ্রাহক রয়েছেন। তার মধ্যে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জেলার ২৩ লক্ষ গ্রাহক আধার কার্ডের সঙ্গে ডিজিটাল রেশন কার্ডের লিঙ্ক করিয়েছেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে বাকি ২৬ লক্ষ গ্রাহকের আধার লিঙ্ক করাতে হবে। নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরের পর আমরা ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ফলে গত কয়েক দিনে জেলায় ভালোই কাজ এগিয়েছে। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্থ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। জানুয়ারিতে সমস্ত কিছু পরীক্ষা করে দেখা হবে। তারপরই চূড়ান্ত ভাবে আধার লিঙ্কের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
খাদ্য নিয়ামক আরও বলেন, মালদহ জেলায় বর্তমানে অনেকেরই ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই। তাদের মধ্যে আবার অনেকেই ইতিমধ্যে নতুন কার্ডের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। বর্তমানে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকদের (বিডিও) তত্ত্বাবধানে সেইসব আবেদনের স্ক্রুটিনি চলছে। তা শেষ হলেই সংশ্লিষ্টরা নতুন রেশন কার্ড পেয়ে যাবেন। কার্ডে থাকা ভুল-ভ্রান্তি সংশোধনের জন্য অনেকে আবেদন করেছেন। তাঁরাও নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ড পাবেন। নতুন কার্ড হাতে পাওয়ার পর তাঁরা আধারের সঙ্গে ডিজিটাল রেশন কার্ডের লিঙ্ক করাতে পারবেন। মৃত ব্যক্তির রেশন কার্ড জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যদের সাত নম্বর ফর্ম পূরণ করতে হবে। তারপর তা খাদ্যদপ্তরের স্থানীয় পরিদর্শকের অফিসে জমা দিতে হবে। সেই কার্ড কিন্তু কোনওভাবেই স্থানীয় রেশন ডিলারের কাছে জমা দেওয়া যাবে না।
জেলা খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে ৭৫০টি রেশন দোকান রয়েছে। তার মধ্যে ৭৩৮টি দোকানে ই-পস মেশিন বসানো হয়েছে। বাকি দোকানেও দ্রুত ওই মেশিন বসানো হবে। ওই মেশিনের মাধ্যমে রেশন সামগ্রী নেওয়ার পরে ছাপা বিল পাওয়া যায়। সম্প্রতি কাগজের রোল শেষ হয়ে যাওয়ায় গ্রাহকরা ওই বিল পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। বিষয়টি শোনার পর জেলা খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা তড়িঘড়ি বাইরে থেকে ওই কাগজের রোল আনার ব্যবস্থা করেন। তা জেলার রেশন দোকানগুলিতে সরবরাহ করা হয়। ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক হওয়ার পর আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে) দিয়ে গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী তুলতে হবে। ফলে একদিকে যেমন একজনের সামগ্রী অন্যজন তুলতে পারবেন না।