মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
এসপি সচিন মক্কর বলেন, চাকুলিয়া থানার কানকি, গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপাড়া, ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ এবং চোপড়ার দাসপাড়ায় পুলিস থানা তৈরির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কানকি, পাঞ্জিপাড়া ও রামগঞ্জে ফাঁড়ি রয়েছে। দাসপাড়ায় থানা করার প্রস্তাব ইতিমধ্যেই রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই রামগঞ্জের প্রস্তাব পাঠানো হবে। বাকি দু’টিও শীঘ্রই পাঠানো হবে। জমির রেকর্ড পেতে একটু সময় লাগছে বলে প্রস্তাব পাঠাতেও দেরি হচ্ছে।
পুলিস প্রশাসন জানিয়েছে, পুলিস ফাঁড়িকে থানায় উন্নীত করার জন্য জমির প্রয়োজন। এলাকায় সার্ভে করে জমির খোঁজ করার পরে রাজ্যে থানা করার প্রস্তাব যাচ্ছে। শুক্রবার পুলিসের এডিজি সিদ্ধিনাথ গুপ্তা এই জেলায় এসেছিলেন। তাঁর কাছেও থানা করার প্রস্তাব জানানো হয়েছে। জেলায় পুলিসি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্যই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে পুলিস প্রশাসন। ছ’মাস আগে উত্তর দিনাজপুর জেলাকে ভেঙে পুলিস প্রশাসনের কাজের সুবিধার্থে ইসলামপুর ও রায়গঞ্জ দু’টি পুলিস জেলা করে রাজ্য সরকার। হোম ও হিল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট থেকে এবিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় মোট ১১টি থানা আছে এরমধ্যে চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া ও ডালখোলা থানা নিয়ে তৈরি হয়েছে ইসলামপুর পুলিস জেলা। ভৌগলিক দিক থেকে ইসলামপুর পুলিস জেলার পশ্চিমে বিহার ও পূর্বে বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। মাঝখানে চিকেন নেকের মতো আকৃতি নিয়ে রয়েছে ইসলামপুর পুলিস জেলা। এই অবস্থানের কারণে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ কিংবা বিহারের দুষ্কৃতীদের আনাগোনা এখানে লেগেই থাকে। অনেক সময় বিহার থেকে দুষ্কৃতীরা এসে এলাকায় অপরাধ করে বিহারে গিয়ে গা ঢাকা দেয়। এর ফলে দুষ্কৃতীদের নাগাল পাওয়া পুলিস প্রশাসনের কাছে কঠিন হয়ে ওঠে। সীমান্তবর্তী এই জেলার পুলিসের কছে এলাকায় বাইরের দুষ্কৃতীদের ওপর নজরদারি চালানো একটা চ্যালেঞ্জ। সেই কারণে আরও থানা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পুলিস ফাঁড়িগুলিকে থানা করা হলে পুলিস ফোর্স, অফিসার সবেরই সংখ্যা বাড়বে। পরিকাঠামোর উন্নতি হবে। সেক্ষেত্রে দুষ্কৃতী দমনে পুলিস আগআরও বেশি শক্তিশালী হবে।
চোপড়া থানার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা দাসপাড়া, লক্ষ্মীপুর ও ঘিরনিগাঁও এলাকার রাজনৈতিক সংঘর্ষের জন্য বদনাম আছে। সামান্য কারণে এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়। মুড়িমুড়কির মতো গুলি, বোমা পড়তে থাকে। এই এলাকায় জোর যার মুলুক তার কায়দায় রাজনীতি চলে। চোপড়া থানা থেকে এই এলাকার দূরত্ব প্রায় ১৫-২০ কিমি। লালবাজারে একটি পুলিস ক্যাম্প আছে। কিন্তু বড় সংঘর্ষ মোকাবিলায় বিপুল পুলিস ফোর্স দরকার। সেসময় চোপড়া থেকে পুলিস সহায়তা পৌঁছনোর আগেই গণ্ডগোল আরও ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। এই ভাবনা থেকেই পুলিস দাসপাড়ায় থানা খুলতে চাইছে। স্থানীয়রা অনেক আগে থেকেই এই দাবি তুলেছেন। এদিকে গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়া হাট জেলার মধ্যে নামকরা। এখানে বিহার থেকেও অনেক ক্রেতা বিক্রেতারা আসে। মাঝে মাঝেই অপরাধমূলক কার্যকলাপ হয়। এই এলাকাতেও পুলিস থানার দাবি রয়েছে বাসিন্দাদের।