মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি বলেন, টেকনিক্যাল কারণে রবীন্দ্রভবনের সংস্কারের বিল আটকে রয়েছে। আর্য নাট্য সমাজের সহ সভাপতি সন্তু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ১৯০৪ সাল থেকে এখানে নাট্য চর্চা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করছে আর্য নাট্য সমাজ। আমাদের জমিতেই রবীন্দ্রভবন গড়ে উঠে। ১৯৭০ সালে প্রশাসন সেটিকে সংস্কার করে। তিন বছর আগে রাজ্য সরকার ফের ভবনটি সংস্কারের কাজ শুরু করে। অনেক কাজই বাকি রয়েছে। জলপাইগুড়ির বিশিষ্ট নাট্যকার সাধন চক্রবর্তী বলেন, শহরে নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য রবীন্দ্রভবনই একমাত্র ভবন। রাজ্য সরকার সংস্কার করলেও কাজের মান খুবই নিম্নমানের হয়েছে। স্টেজ সহ দর্শক আসনে জল পড়ে। মঞ্চটি ভেঙে পড়েছিল। পরবর্তীতে সংস্কার করা হলেও আগের মতো আর নেই।
সংস্কৃতির শহর জলপাইগুড়িতে নাট্য চর্চার প্রাণকেন্দ্র এই রবীন্দ্রভবন। ১৯০৪ সাল থেকে সমাজপাড়ার এই জমিতে নাট্য চর্চা করে আসছে আর্য নাট্য সমাজ। স্বাধীনতার আগে স্বদেশী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল তারা। প্রথম দিকে টিনের ঘরে নাটক চর্চা হতো। পরবর্তীতে গ্রিন রুম পাকা করা হয়। ১৯৬০ সালের দিকে নানা কারণে এই ভবনটি বন্ধ ছিল। ১৯৭০ সালে সংস্কার করে নব কলবরে শুরু হয় রবীন্দ্রভবনটি। জোরকদমে নাট্য চর্চা সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতে থাকে। বছর তিনেক আগে রাজ্য সরকার ভবনটি সংস্কার করতে উদ্যোগী হয়। প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারের কাজ শুরু হয়। সংস্কার শুরু হলেও কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে। ভবনের ফ্যানগুলি অকেজো হয়ে রয়েছে। শীতের দিনে সমস্যা না হলেও গ্রীষ্মকালে সমস্যায় পড়তে হয় দর্শকদের। ভবনটিতে এসি বসানোর দাবিও উঠেছে।
তরে রাজ্য সরকার ভবনটি সংস্কার করলেও মালিকানা বেসরকারি সংস্থার হাতে রয়েছে। তাই ভবনটিকে সরকারি কোনও অনুষ্ঠান বা কর্মসূচির জন্য ব্যবহার করতে হলে বেসরকারি সংস্থার উপরেই নির্ভরশীল থাকতে হয় প্রশাসনকে। বেসরকারি সংস্থার কাজ সরকারি সংস্থা কীভাবে করতে পারে সেনিয়েও প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক মহলে। এরপরেই কাজের বিল আটকে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। মালিকানার শর্ত সর্ম্পকে তারা খোঁজ খবর নিচ্ছে। যদিও আর্য নাট্য সমাজের দাবি, রবীন্দ্রভবনের মালিকানা নিয়ে তাদের ব্যতীত অন্য কারও প্রশ্নই উঠে না। তাদের জমিতেই এই ভবন রয়েছে। তারাই সেটিকে ভাড়া দিয়ে নিজেদের সংস্থা চালায়।