বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
শহরের সুভাষপল্লিতে অবস্থিত ওই বাড়ি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সিপিএমের দখলে। স্থানীয় কাউন্সিলার সিপিএমের মৌসুমি হাজরা বলেন, ওই পরিত্যক্ত বাড়ির মালিকের হদিশ মিলছে না। জঙ্গলে ঢাকা সেই বাড়ি মশার আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া ওই বাড়িতে কখন কে, কী উদ্দেশ্যে আসছে, যাচ্ছে তাও বোঝা যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা এব্যাপারে আমার কাছে স্মারকলিপি দেন। তা জানানোর পর পুরসভা ওই বাড়িতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে। এনিয়ে আপত্তির কিছু নেই।
পুরসভার ৩ নম্বর বরো কমিটি ওই সাইন বোর্ড ঝুলিয়েছে। সংশ্লিষ্ট বরো কমিটি তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত। ৩ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলার নিখিল সাহানি বলেন, পুর আইন অনুসারে ডেঙ্গু রোধে ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে সাইন বোর্ড ঝোলানো হয়েছে। আইন অনুসারেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
এবার শিলিগুড়ি শহরে ডেঙ্গুর দাপট অস্বাভাবিভাবে বেড়েছে। ইতিমধ্যে বেসরকারি হিসাব অনুসারে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি সংশ্লিষ্ট বরো কমিটির অন্তর্গত এলাকায়। তাই ডেঙ্গু রোধে নড়েচড়ে বসেছে সংশ্লিষ্ট বরো কমিটি। ইতিমধ্যে তারা নির্মীয়মাণ বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে জল জমিয়ে রাখার অভিযোগে এক গৃহকর্তার কাছ থেকে ৫০০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এবার জঙ্গলে ডাকা বাড়িতে সাইন বোর্ড ঝোলাল তারা। ভবিষ্যতে তারা ওই বাড়ি ক্রোক করার পথেও হাঁটতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বরো কমিটির অধীনে ১৬ থেকে ২৪ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ১০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯ নম্বর অন্যতম। কয়েকদিন আগে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডেই ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলারও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর বাইরে ২০, ২১, ২২ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডেও মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ রয়েছে।
তৃণমূল পরিচালিত ৩ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, বাড়ি ও আশপাশে জল জমিয়ে রাখা যাবে না। এলাকা পরিষ্কার রাখতে হবে। এসব বিষয়ে লাগাতার প্রচার চালিয়েও কোনও লাভ হচ্ছিল না। ফাঁকা জমি এবং নির্মীয়মাণ বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে জল জমে থাকছে। সেই জলে এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করছে। কয়েকটি বাড়ির জমা জলে এডিস মশার লার্ভাও মিলেছে। তেমনি জঙ্গলে ঢাকা পরিত্যক্ত বাড়িও মশার আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে। তাই জল জমে থাকার অভিযোগে নির্মীয়মাণ বাড়ির মালিককে নোটিস ধরানো হচ্ছে। একই ভাবে জঙ্গলে ঢেকে যাওয়া পরিত্যক্ত ওই বাড়িতে সাইনবোর্ড ঝোলানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বাড়ির কোনও মালিক যোগাযোগ করেননি। শীঘ্রই পুরসভা থেকে ওই বাড়ির জঙ্গল সাফ করা হবে। যেদিন বাড়ির মালিক আসবেন, সেদিন তাঁর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হবে। তা না হলে আইন অনুসারে সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, অধিকাংশ পরিত্যক্ত বাড়ির মালিক এখানে থাকছেন না। কর্মসূত্রে তাঁদের অনেকেই বাইরে রয়েছেন। ৩ নম্বর বরো কমিটি জানিয়েছে, এলাকার এমন ৫০টি বাড়িতে সাইন বোর্ড ঝোলানো হয়েছে। এরপর অধিকাংশ বাড়ির মালিক পুরসভায় যোগাযোগ করে নিজেরাই জঞ্জাল সাফাই করেছেন। তারপর সেই সাইনবোর্ড হঠানো হয়েছে। এক-দু’টি পরিত্যক্ত বাড়ির মালিকের হদিশ মিলছে না।