বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতী রাভা রায় বলেন, ভেটাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতটি এর আগে আমাদের দখলে ছিল। বর্তমানে তৃণমূলের দখলে থাকলেও সেখানকার উপপ্রধান ও একজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য গত সেমাবার আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁরা স্বেচ্ছায় আমাদের দলে ফিরে এসেছেন। আরও পঞ্চায়েত সদস্যদের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, বিজেপি টাকা দিয়ে ওদের ধরে রাখার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।
কোচবিহারের ভেটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে সংসদ সদস্য নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ভেটাগুড়ি-১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েত দু’টি তৃণমূল দখল করেছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে তৃণমূলের পরাজয় হয়। এই কেন্দ্রে বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক জয়ী হওয়ার পরেই জেলার বিভিন্ন জায়গার বেশকিছু গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করে নেয়। তারমধ্যে ভেটাগুড়ি-১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েত দু’টিও ছিল। গত কয়েক মাসে তৃণমূল ফের বিজেপির হাত থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বেশকিছু গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু নিশীথবাবুর খাসতালুকে দলবদলের মাধ্যমে ওই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল ও পুনর্দখল করাটা যেন দুই দলের কাছে রীতিমতো প্রতিযোগিতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন আগেও ভেটাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু তৃণমূল সদস্যকে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছিলেন নিশীথবাবু।
এদিকে ভেটাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতটি বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে ফের দু’জনকে নিজেদের দলে টেনে আনতে সক্ষম হল বিজেপি। ফলে আগামী দিনে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে ফের রদবদল হবে কিনা সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।