কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
পড়ুয়ারা জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর একহাজার টাকা ল্যাব ফি হিসাবে নেয়। কিন্তু আদতে আমাদের বিষয়ে পড়াশুনার জন্য ল্যাবের কি দরকার, তা আমরা জানি না। ল্যাবের কোনও সুযোগ সুবিধাও পাই না। তবুও টাকা দিতে হচ্ছে। এনিয়ে আগেও কলেজ চত্বরে আন্দোলন করেছি। তার ফলস্বরূপ কর্তৃপক্ষ টাকা ফেরত দেবেন বলেছিলেন। কিন্তু আজও কিছু পাইনি। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের কথায়, ফিজিক্যাল এডুকেশন পড়ুয়াদের ল্যাব বলতে বিজ্ঞান ভবনের ল্যাবের মতো কিছু বোঝায় না। ল্যাব ফি বলতে ফুটবল সহ অন্যান্য খেলাধুলোর জন্য যাবতীয় সরঞ্জাম কেনার জন্য প্রয়োজনীয় খরচের কথা বোঝায়। সেজন্যই টাকা নেওয়া হয়। তবুও বাড়তি টাকা ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে পড়ুয়াদের ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
এদিকে পড়ুয়াদের পাল্টা দাবি, খেলাধুলোর সরঞ্জাম কেনার জন্য যদি এই টাকা নেওয়া হয়, তাহলে প্রয়োজনের চাইতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। সেসব সরঞ্জাম একবার কিনলে বহু বছর চলে যায়। তাহলে সকলের কাছ থেকে প্রতিবছর এত টাকা নেওয়ার মানে কি? এই ফি কমানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।
গৌড় মহাবিদ্যালয়ে আন্দোলনরত পড়ুয়া বিশ্বনাথ শীল, গুরুদেব টুডু, বিনোদিনী সরকার, চন্দন রাজবংশীরা বলেন, আমরা বুঝতে চাইছি ল্যাব ফি কিসের জন্য নেওয়া হচ্ছে? কলেজ কর্তৃপক্ষের কথা অনুযায়ী খেলার সরঞ্জাম কেনার জন্য টাকা নেওয়া হলে সেকথার কোথাও কোনও উল্লেখ নেই কেন? ল্যাবের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে কেন লেখা রয়েছে? আর ওই সরঞ্জাম কিনতে এতো বেশি টাকা লাগার কথা না। প্রথম বর্ষে ও দ্বিতীয় বর্ষে টাকা তো দিয়েছি। তখনও এনিয়ে আন্দোলন হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ফি কমিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল, পুজো শেষ হয়ে গেল, এখনও আমরা এক টাকাও ফেরত পাইনি। আমরা গরিব ঘরের সন্তান। এত কষ্ট করে পড়াশুনা করি। আমাদের সমস্যা কর্তৃপক্ষ অনুভব করুক। আমাদের দাবি, ল্যাব ফি বলে টাকা যেন আর কোনও পড়ুয়ার কাছ থেকে নেওয়া না হয়। সেইসঙ্গে আমরা যেন আগের ফি ফেরৎ পাই।
গৌড় মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অসীমকুমার সরকার বলেন, এই বিষয়ের ল্যাব বলতে বিজ্ঞানের ওই ল্যাব নয়। ওদের জন্য ফুটবল সহ বিভিন্ন খেলাধুলোর সরঞ্জাম কেনা হয়। সেজন্য টাকা নেওয়া হয়। এই ফি নেওয়াটা গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত। তাঁদের অনুমতি ছাড়া কমানো সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। তবে পড়ুয়ারা ভর্তি হয়ে যাওয়ার পর আমরা ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করি। গত বার ৪৬জন আবেদন করেছিল। তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।