কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
তৃণমূলের মাথাভাঙা-১ ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি মজিরুল হোসেন বলেন, নয়ারহাট বাজার এলাকায় দু’দিন ধরে ধারাবাহিক সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার তৃণমূল কর্মী হিমাংশু রায়ের বাড়িতে হামলা করা হয় ও দলীয় অফিসের পতাকা নামিয়ে ফেলা হয়। শনিবার সকাল থেকে ফের বাজার এলাকায় ওরা সশস্ত্র অবস্থায় ঢুকে আমাদের অঞ্চল কার্যালয় ভেঙে দিয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের স্থানীয় নেতা সুশীল বর্মনের বাড়িতেও ওরা হামলা চালিয়েছে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সম্পাদক মনোজ ঘোষ। তিনি বলেন, নয়ারহাটে দু’দিন ধরে তৃণমূলীরাই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গাড়িতে করে একদল দুষ্কৃতী বাজারে ঢুকে বোমাবাজি করেছে। ওখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। আমাদের কেউ ওদের পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত নয়।
এব্যাপারে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, বিজেপি একটি সন্ত্রাসী দল। ধারাবাহিক ভাবে ওরা নয়ারহাটে সন্ত্রাসের পরিবেশ কায়েম করে রেখেছে। আমাদের দলীয় কর্মীদের বাড়িতে হামলা, দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করছে। এদিন পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা এনিয়ে পুলিসকে জানিয়েছি। বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভা রায় বলেন, নয়ারহাটের ঘটনার কথা শুনেছি। ওখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জন্য দলীয় অফিস ভাঙচুর হয়েছে। আমাদের কেউ ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত নয়। নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দল ঢাকতে আমাদের নামে অযথা দোষারোপ করছে তৃণমূল। নয়ারহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শম্ভুনাথ সিং বলেন, বারবার নয়ারহাট বাজার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। পুলিস প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। বাজার এলাকার অরাজকতা দূর না করা পর্যন্ত আমরা দোকান খুলব না।
এদিকে, শুক্রবার রাতে দিনহাটার নাজিরহাটের শালমারা এলাকায় স্থানীয় ক্লাবের একটি সভাকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।