হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
শনিবার মহম্মদ ফিরোজ বলেন, দিন দশেক আগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে বোনকে ভর্তি করি। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক বোনকে শিলিগুড়িতে রেফার করেন। জলপাইগুড়ি থেকে বোনকে দ্রুত শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য ১০২ নম্বরে বারবার ফোন করা হলেও অ্যাম্বুলেন্স মিলছিলই না। প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে ফেসবুক থেকে ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর জোগাড় করি। ফোনে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানাই। আশ্বাস দেওয়া হয় দ্রুত সমস্যা সমাধানের। কিছুক্ষণের মধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স চলে আসে। ওই অ্যাম্বুলেন্সে করেই বোনকে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাই। পরে বোনকে সুস্থ করে বাড়ি নিয়ে আসি। চারদিন আগে বোন কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে। মামা হিসেবে আমি ভাগ্নির নাম ‘মমতা’ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির জল্পেশে মহম্মদ ফিরোজের বোন লতিফার দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। লতিফার স্বামী পেশায় চা পাতার ব্যবসায়ী। দিন দশেক আগে লতিফার প্রসবের আগে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা লতিফাকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালের মাতৃমাতে ভর্তি করেন। কিন্তু শ্বাসকষ্ট না দূর না হওয়ায় চিকিৎসকরা লতিফাকে শিলিগুড়িতে রেফার করে দেন। অসুস্থ বোনকে জলপাইগুড়ি থেকে দ্রুত শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পেতে ১০২ নম্বরে ফোন করেন ফিরোজ সাহেব। কিন্তু ১০২ নম্বর থেকে ফোন রিসিভ করে জানানো হয় অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট দেরি হবে। কিন্তু বোনের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হতে থাকায় ওর পরিবারের লোকেরা চিন্তায় পড়ে যায়। ‘দিদিকে বলো’ ফোন নম্বর জোগাড় করে সরাসরি ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স পেয়ে যান ফিরোজ সাহেব। ৪০ মিনিটের মধ্যেই জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছে যান তাঁরা। সেখানে লতিফার শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা হয়। পরে সেখান থেকে সুস্থ করে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। চারদিন আগে জলপাইগুড়ির একটি নার্সিংহোমে লতিফা কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।