বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
মোস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপি’র রুমাবালা দেবশর্মা বলেন, আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে একটি বিষয়ের ওপর তদন্ত হচ্ছে। তবে ওই ঘটনায় যাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছিল আমরা তা জানতে পাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা স্টপ পেমেন্ট করতে বলেছি। কিন্তু প্রশাসনিক স্তরে নানাভাবে আমাদের ওপরে দলবদলের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
বরুণা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপি রীনাবালা দেবশর্মাকে এদিন একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মোস্তাফানগরের উপপ্রধান বিজেপি’র ননীগোপাল মণ্ডল বলেন, মোস্তাফানগর ও বরুণা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে অনিয়মের কথা বলে দলবদলের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমার উপরেও ওই চাপ রয়েছে। এমন ঘটনার প্রতিবাদেই কালিয়াগঞ্জ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা তথা বিজেপি’র প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পর্যবেক্ষক অমিত সাহা বলেন, ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি কাজের তদন্ত নেমেছে প্রশাসন। এরপরেই দুই প্রধান ও এক উপপ্রধানকে দলবদলের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা তারই প্রতিবাদে এদিন থানা ঘেরাও করে ছিলাম। আগামী দিনে আমরা আরও বড় আন্দোলন করব।
কালিয়াগঞ্জের জয়েন্ট বিডিও পরিমল দাস বলেন, ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের পৃথক দু’টি কাজের ক্ষেত্রে মাসখানেক আগে অভিযোগ জমা পড়েছিল। ব্লকস্তরে সেই কাজের তদন্ত হয়েছে। জেলা পর্যায়ে তদন্ত হচ্ছে। তবে কারও ওপরে কোনও ধরনের চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ কেউ তুলে থাকলে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ হচ্ছে।
কালিয়াগঞ্জের আইসি বিচিত্রবিকাশ রায় বলেন, আমার কাছে গণস্বাক্ষর করা একটি অভিযোগপত্র জমা পড়েছিল। ওই বিষয়ে কিছু বলার আছে কি না তা জানার জন্য মোস্তাফানগরের উপপ্রধানকে তদন্তের স্বার্থে ডাকা হয়েছিল। তবে তাঁর ওপরে কোনও চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে এই কথা একেবারেই সঠিক নয়। কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা তথা বিজেপি’র প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পর্যবেক্ষক অমিত সাহা বলেন, ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি কাজের তদন্ত নেমেছে প্রশাসন। এরপরেই দুই প্রধান ও এক উপপ্রধানকে দলবদলের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা তারই প্রতিবাদে এদিন থানা ঘেরাও করেছিলাম। আগামী দিনে আমরা আরও বড় আন্দোলন করব।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাটপাড়ায় ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে কলাবাগান তৈরির প্রকল্প চলছিল। ওই কাজের মাস্টাররোল নিয়ে অভিযোগ ওঠে। অপরদিকে বরুণা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজে মাটি সমান করার কাজ যতটা হওয়ার কথা ছিল ততটা হয়নি। তাছাড়া ওই কাজে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দুই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়। আর তদন্ত চলাকালীনই ওই দুই জায়গার প্রধান, মোস্তাফানগরের উপপ্রধানের ওপরে দল বদলের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে বিজেপি অভিযোগ তোলে। এরই প্রতিবাদে এদিন কয়েকশো বিজেপি কর্মী কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায়। প্রায় এক ঘণ্টা থানা ঘেরাও করে রাখার পর তা তুলে নেওয়া হয়।